আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ার ডুমুরিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ে এক কৃষকের বসতঘর, গোয়ালঘর ও রান্নাঘর ছাই হয়েছে। অগ্নিকা-ে ১টি ছাগল ও ৪টি রাজহাঁস পুড়ে মারা গেছে। গৃহবধূ মুক্তা খাতুন ও ১টি গাভী গরু অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। সর্বস্ব হারিয়ে কৃষক মকবুল হোসেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জীবননগর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনতা প্রায় একঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপাড়ার মৃত দুলু ম-লের ছেলে প্রান্তিক কৃষক মকবুল হোসেনের বাড়িতে গতকাল শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে আকস্মিক অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখায় বসতঘর, গোয়ালঘর ও রান্নাঘর ভস্মিভূত হয়। ঘরে রক্ষিত ধান, চাল, আসবাবপত্রসহ সবকিছুই আগুনে পুড়ে ছাই হয়। রক্ষা পায়নি অবলা পশুও। মারা গেছে, ১টি ছাগল ও ৪টি রাজহাঁস। অগ্নিদগ্ধ হয়েছে গৃহবধূ মুক্তা খাতুন ও ১টি গরু। আগুনের লেলিহান শিখায় প্রতিবেশী ফনি ম-লের ছেলে জামাত আলীর রান্নাঘর ও গোয়ালঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ টাকা বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে। রান্না ঘরের চুলা থেকে গৃহবধূর অসর্তকতার কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে পেয়ে জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে সান্তনা দিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন ও সরকারি সাহায্য, সহযোগিতা ও অনুদানের আশ্বাস দেন। ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা প্রতিবেশী কাসেম আলী বলেন, আমার ৫০ বছর বয়সে এমন ভয়াবাহ অগ্নিকা-ের ঘটনা আমি ইতোপূর্বে কখনও দেখিনি। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির জন্য অবিলম্বে সরকারি সাহায্যের দাবি জানান। আন্দুলবাড়িয়া ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান পচা মাথাভাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।