জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারে এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ অপচেষ্টাকারী অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার সময় ওই নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে আদিবাসী ওই নারীকে আইনগত সহযোগিতা করার জন্য জীবননগর উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন কাজল, কাজী সামসুর রহমান চঞ্চল, সাজেদা আক্রার, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সজল আহমেদ গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টার সময় ঘটনাস্থলে যান এবং ওই পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। অপরদিকে বেলা ৫ টার সময় জীবননগর উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রমেন বিশ্বাস, সহ-সভাপতি যাদব কুমার প্রামানিক, সাধারণ সম্পাদক সাগর বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নারায়ন ভৌমিক, সহ-সভাপতি শ্রী জীবন কুমার সেন, জীবননগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিজয় হালদার, সহ-সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব রক্ষিতা ওই আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জীবননগর উপজেলা লোকমোর্চা এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে ধর্ষণ অপচেষ্টার সত্যতা পান।
এদিকে স্থানীয় একটি চক্র ধর্ষণ অপচেষ্টার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেবার নাম করে অভিযুক্তদের কাছ থেকে আড়াই লক্ষাধিক টাকা নিয়েছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। ওই সূত্র জানায়, ধর্ষণ অপচেষ্টাকারী অভিযুক্তদের ভেতর একজন গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় উথলী বাজারের রাষ্ট্রায়ত্ব একটি ব্যাংক থেকে আড়াই লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করেছেন। স্থানীয় ওই চক্রটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধর্ষণ অপচেষ্টার বিষয়টি মিটিয়ে দেয়ার কথা বললেও ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ সে আশার গুড়ে বালি পড়েছে।
উল্লেখ্য, জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারে স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে একা পেয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক গৃহবধূকে (৩০) ধর্ষণের অপচেষ্টা চালায় তিন যুবক। মঙ্গলবার রাত ২ টার সময় উথলী বাজারে ধর্ষণ অপচেষ্টার এ ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে একই পাড়ার কুলসুম বেগমের ছেলে রবিউল হক এবং রেলওয়ের খালাসী আব্দুল্লা ওই নারীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের অপচেষ্টা করে। এ সময় ওই নারী তাদের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। এ সময় একই পাড়ার আবুল কালামের ছেলে সুমন ঘরের দরজা আটকে দিয়ে ওই নারীকে ঘর থেকে বের হতে বাধা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ওই নারী কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা ছুটে এলে ধর্ষণের অপচেষ্টাকারী ওই তিন অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।