জামায়াত-বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকা- করতেই অভ্যস্ত

আলমডাঙ্গার কুমারীতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি-জামায়াতচক্র দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, আগুন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে এবং অবরোধ-হরতালের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন কৃষকলীগের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কুমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আওয়ামী লীগ থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। দেশের মানুষ এখন আর অভাবে নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে হাজারো মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। বিএনপি-জামায়াত উন্নয়ন চায় না, কখনো তারা উন্নয়ন চাইওনি। দেশ যখন উন্নয়ন অগ্রগতির মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনি বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাসী শুরু করেছে। যখন নির্বাচন আসে তখন তাদের জ্বালা ধরে যায়। বিএনপি-জামায়াত আগামী নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার মেগাপ্রকল্পসহ দেশের উন্নয়নের যে ভূমিকা রাখছে, তা নিরুৎসাহিত করতে বিএনপি-জামায়াতচক্র সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দেশের মানুষের জানমালের ধ্বংসের পথে নেমেছে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মৃত্যুর মুখে ফেলছে। দোকান ঘর ও যানবাহনে আগুন লাগিয়ে মানুষ মারছে। এটা কেমন রাজনীতি। পূর্বের ইতিহাস অনুযায়ী তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতেই অভ্যস্ত। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কৃষিখাতে গত ১৫ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকাও রেখেছে। চিকিৎসা, খাদ্য, বস্ত্রসহ শিক্ষাখাতেও বহুপরিবর্তন এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশ্বে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বড় বড় মেগাপ্রকল্পগুলো এখন দৃশ্যমান। পদ্মাসেতু, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেলসহ মেট্রোরেলে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করছে। প্রতিবছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যায়। এগুলো বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে তাদের চিন্তাতেও ছিলো না। যেটা আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে হচ্ছে। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমরা সবাই নৌকার পক্ষে যুদ্ধ করবো। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নৌকা চাইবো, তিনি যদি দেন-তবে আপনাদের সাথে নিয়েই এ জেলাকে স্মার্ট জেলায় রুপান্তর করবো। যদি মনোনয়ন নাও পাই, আগামী সংসদ নির্বাচনে আমরা সবাই নিজে ভোট সেন্টারে যাবো এবং পাশের ব্যক্তিকেও নিয়ে যাবো। জননেত্রীর মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে। তবে আমার কোনো প্রত্যাশা নাই, আমি দিলীপ আপনাদের সাথে নিয়ে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়ে তুলবো। এটাই আমার উদ্দেশ্য। আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক বুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল হক, কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম দিপু মাস্টার, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবু তালেব, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ায়েচ কুরুনি টিটু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পবিত্র কুমার আগরওয়ালা, খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এএইচএম মোয়াজ্জেম, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রুহুল আমীন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য তপন কুমার বিশ্বাস, বাড়াদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হাসিবুল ইসলাম, আইলহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম চৌধুরী, কমল কুমার বিশ্বাস, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী নেতা ইলা মেম্বার, জনি মেম্বার ও নাগদাহ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিশর আলী, জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা রিপন শাহ, যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন প্রমুখ। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশটি উপস্থাপনা করেন আব্দুল মালেক। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইকা।