ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা আদ-দীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার এনজিও’র তত্ত্বাবধানে চোখের ছানি অপারেশন করে অন্ধ হয়ে যেতে বসেছে ডিঙ্গেদহ বাজারের হোটেল কর্মী ইশারন নেছা। চিকিৎসা অভাবে যন্ত্রনায় ছটফট করছেন তিনি। ইশারন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের দিনমজুর মৃত তারাচাঁদের স্ত্রী। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ইশারন নেছা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমি ডিঙ্গেদহ বাজারে মাসুমের হোটেলে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। গত বছরের ৭ নভেম্বর আদদীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার এনজিও চোখের ছানি অপারেশন করার জন্য সরোজগঞ্জ বাজারে তেল পাম্পের নিকট ক্যাম্প করে। আমি সেখানে যায় এবং তারা আমার চোখ পরীক্ষা করে বলে আমার চোখে ছানি হয়েছে। আজকেই যশোরে গিয়ে চোখ অপারেশন করতে হবে। তাদের কথামতো একটি রিজার্ভ বাসে করে আমিসহ ৩০-৩৫ জনকে যশোরে নিয়ে যায় তারা। আদদীন হসপিটালে নিয়ে সকলকে অপারেশন করে সাথে সাথে চোখের ব্যান্ডেস খুলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সকলের মত করে আমাকেও বাড়ি চলে যেতে বলে। চোখে ঝাকি লাগবে বলে আমি আসতে চাইনি। পরেরদিন চোখ খুলে আমাকে ওরবিডেক্স-সি ড্রপ ৫এমএল ৩টি বোতল দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে আমাকে কিনে নিতে বলে। যাওয়ার সময় শুধু আমাদের বাসে করে নিয়ে যায় কিন্তু আসার সময় আমাদের ভাড়া দিয়ে আসতে হয়। কয়েকবার যশোরে গিয়েছি নিজের টাকা খরচ করে। তাদের লেখা ওষুধ ২মাস ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার হয়নি। এর ফলে আমি ২ মাস পর চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনে গিয়ে চোখ দেখায়। ইম্প্যাক্টের ডাক্তার বলেন, ছানি পরিপূর্ণভাবে অপারেশন হয়নি। বর্তমানে আমি আমার অপারেশন করা চোখ দিয়ে হালকা দেখতে পায়। অসহ্য যন্ত্রনায় আমি ঠিকভাবে ঘুমাতে পারি না। বর্তমানে টাকার অভাবে আমি আমার চোখের চিকিৎসা করতে পারছি না। চিকিৎসা করাতে না পারলে আমার চোখ চিরতরে অন্ধ হয়ে যাবে। চোখটা যাতে সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসা করতে পারি তার সু-ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ইশারন নেছা।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপক সেলিম আহাম্মেদ বলেন, ছানি অপারেশনের জন্য যশোর থেকে টিম আসে। তারাই দেখাশোনা করে থাকে। তবে ইশারন কাদের মাধ্যমে গিয়েছেন আমার জানা নেই। আমাদের যে ব্র্যাঞ্চের মাধ্যমে ইশারনকে নিয়ে গিয়েছে সেখানে গেলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে বলে জানান তিনি।