আলু চাষে এবারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত করা সম্ভব বলে আশা কৃষি বিভাগের
শামীম রেজা: চুয়াডাঙ্গায় আলু আবাদের ধুম পড়েছে। মাঠে আলু বীজ বপনে কৃষক একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন এ জেলার চাষিরা। কার্ডিলাল, ডায়মন্ড গোল আলুর কদর দেশজুড়ে। তবে কিছুদিন আগে অধিক বৃষ্টিপাতের প্রভাবে জেলার আলু চাষের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। নিচু জমিগুলোতে পানি বেধে গেছে। অবশ্য চাষিরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছে। যার ফলে তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন চাষিরা। যে কারণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চলতি রবি মরসুমে আলু আবাদের জমি টার্গেট করেছে গত বছরের চেয়ে প্রায় ২০০ হেক্টর বেশি। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, গত মরসুমের চেয়ে চলতি মরসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন টার্গেটের চেয়ে বেশি হবে আশা করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের চিত্র তাই বলে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুল আলী বলেন, গত মরসুমে আলুর দাম ভালো পেয়েছিলেন। এ বছর আলু আবাদের জমি কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছি। চুয়াডাঙ্গায় উন্নত জাতের কার্ডিলাল আলুর আবাদ বেশি হয়। এর মধ্যে আছে ডায়ম-, পাকরি, কাজললতা ও অন্যান্য জাতের আলু। চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর নামক কাঁচামাল হাটের ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন বললেন, এই মরসুমে দূর দূরান্ত থেকে অনেক যাত্রীরা বাজারে যাত্রা বিরতি করে কার্ডিনাল এই আলু কিনে নিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলার প্রতিটিতেই আলুর চাষ হয়। এর মধ্যে থেকে জীবননগর উপজেলায় আলুর চাষ বেশি হয়। কৃষি বিভাগের তথ্যে মতে, চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলায় চলতি রবি মরসুমে গোল আলু ১ হাজার ৭শত ৬৩ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩৪৫ হেক্টর। আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৪৮ হেক্টর। দামুড়হুদা উপজেলায় ২৮০ হেক্টর এবং জীবননগর উপজেলায় ৮শত ৯০ হেক্টর জমিতে আলু বীজ বপন হয়েছে। এই সময়ের বীজে ফলন উঠতে সময় নেবে ৭০ থেকে ৭৫দিন। চুয়াডাঙ্গা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি রবি ফসলের জন্য সবজি ও আলু আবাদে কৃষকদের মধ্যে উফশী জাতের বীজও সরবরাহ করা হয়েছে। সবজি ও আলুর অধিক উৎপাদনের জন্য জমিতে কি পরিমাণ জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হবে তার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আশা করা হচ্ছে আলু উৎপাদন এবারের মরসুমে আলুর বাড়তি ফলন হবে। আলু সংরক্ষণের কোন অসুবিধা হবে না।