স্টাফ রিপোর্টার: যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে পালন করেছেন তাদের অন্যতম প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত ৪টি ঈদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এবার মুসল্লিরা মুখিয়ে ছিলেন ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করবেন; কিন্তু তা আর হয়নি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এবারও মুসল্লিদের ঈদগাহের পরিবর্তে মহল্লার স্ব-স্ব মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে হয়েছে।
জানা গেছে, করোনার কারণে পরপর ২ বছর ঈদের জামাত মাঠে ঈদের জামাত হতে পারেনি। তাই এবছর ঈদের জামাত মাঠে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কমিটিগুলো ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছিলো। তবে ঈদের সকালের বৃষ্টির কারণে এবারও মাঠে ঈদের জামাত করা সম্ভব হলোনা। ফলে এলাকায় এলাকায় বিভিন্ন জামে মসজিদ সমূহে অনুষ্ঠিত হল ঈদের জামাত। মুসল্লিদের আধিক্যের কারণে বেশির ভাগ মসজিদেই একাধিক জামাত করতে হয়েছে।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত ৪টি ঈদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এবার মুসল্লিরা মুখিয়ে ছিলেন ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করবেন; কিন্তু তা আর হয়নি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এবারও মুসল্লিদের ঈদগাহের পরিবর্তে মহল্লার স্ব-স্ব মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে হবে।
বৃষ্টির কারণে রাস্তায় ঈদের দিন মোটরসাইকেলের আধিক্য কম থাকলেও ঈদের পরের গত দুইদিনে রাস্তায় তরুণদের বেপরোয়া গতি ছিলো ব্যাপক। এবার নতুন করে খোলা ট্রাক ও আলমসাধুতে ডিজেপার্টির উৎপাত মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। এদের মাইকে বিকট শব্দের হর্নে সংগীত ও চিল্লা-পাল্লার কারণে মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ আদায় যেমন কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে; তেমনি অসুবিধায় হয় রোড সংলগ্ন বসবাসকারীদের। জীবননগর উপজেলার ১১৪টি ঈদগাহে এবার ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির কারণে তা আদায় সম্ভব হয়নি। তবে মসজিদে সুষ্ঠুভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।