ফ্রিজ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তোলা সেøাগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা
স্টাফ রিপোর্টার: ফ্রিজ প্রতীকের খণ্ড খণ্ড মিছিলগুলো নির্বাচনি সমাবেশে যুক্ত হতেই কনায় কনায় ভরে ওঠে চুয়াডাঙ্গার পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠ। উপচেপড়া ভিড়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ হাসান চত্বরে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হলেও ভিড় সামলানো সম্ভব হবে না ভেবেই স্থান পরিবর্তন করে নেয়া হয় স্টেশন সংলগ্ন পুরাতন স্টেডিয়ামে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ এমএ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপির নির্বাচনী এ সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেয়। ফ্রিজ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তোলা সেøাগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ফ্রিজ মার্কা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আলহাজ এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি। এ সময় জনসভা রূপ নেয় জনসমুদ্রে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ এ জনসভায় অংশ নিয়ে গণজমায়েতের সৃষ্টি করে। জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। জনসভায় হাজার হাজার মানুষের উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ এম.এ রাজ্জাক খানের পতœী দিলরুবা তনু বলেন, ‘আপনারা আর কত অবহেলিত থাকবেন, ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে চুয়াডাঙ্গার জনগণের। আগামী ৭ জানুয়ারি আপনারা আপনাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করুন, ন্যায় ইনসাফ শান্তি শিক্ষা ও আধুনিক জেলা গঠনে ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিন।’ বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘আমরা কোনো প্রতিপক্ষ কে ভয় পায় না, আমার নির্বাচনের সময় আমাকে দুইবার গুলি করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তারপরও আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় বেঁচে আছি, আপনাদের সমর্থন নিয়ে পাঁচ বছর পৌরবাসীর সেবা করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রার্থী আলহাজ এমএ রাজ্জাক খান রাজ একজন সং নির্ভীক ও ধর্ম পরায়ন ব্যক্তি, সুতরাং আগামী ৭ জানুয়ারি ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থী আলহাজ রাজ্জাক খানকে জয়যুক্ত করুন।’ এ সময়, হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজ্জাক খান রাজ বলেন, ‘আজকের জনসমাবেশে দেখে আনন্দিত ও উচ্ছস্বিত আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি ও আমার পরিবার মুগ্ধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরেরও চুয়াডাঙ্গার দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই জনপদের অবহেলিত মানুষ শিক্ষা স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের রাষ্ট্রীয় সুযোগ থেকে বঞ্চিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট করার নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে এলাকার জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জনগণের ভোটে জাতীয় সংসদে আসতে পারেন ও জনগণের সেবা করতে পারেন। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীন রাষ্ট্রকে স্মার্ট রাষ্ট্র তৈরি করার এ প্রত্যয় আজ ও আগামীর প্রজন্মের জন্য এই প্রত্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলাকে স্মার্ট ও আধুনিক জেলায় রূপান্তর করতে হলে প্রয়োজন বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল। এলাকার কৃষি ও কৃষকের ভাগ্যর পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন কৃষির আধুনিকীকরণ ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকরণ। পাশাপাশি বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন সময় উপযোগী শিল্প অঞ্চল গড়ে তুলা। যা আমি আমার নির্বাচনের ইশতেহারে রেখেছি। আমি আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমত ও আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদের সমর্থন ও ভোটে জয়যুক্ত হয়ে এই এলাকার অধিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকবো এবং সেবার মহিমায় সকলকে নিয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী জেলায় রূপান্তর করবো এই কারণে শেষ বারের মতো আপনাদের দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছি এবং আমার প্রতীক ফ্রিজ মার্কায় ভোট প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুত্র আল-আকসা তানজিম খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাড়াদী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জেলা যুবলীগের সদস্য শরিফ হোসেন দুদু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, জাকির হোসেন জ্যাকি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের চুয়াডাঙ্গা সদর শাখার সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, মুফতি আব্দুল্লাহ, জেলা পরিষদ সদস্য মিজানুর রহমান জান্টু, টিটু আহমেদ, আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম, মস্তফা খান, রবজেল আলী, ফয়সাল, বাদশা, টুটুল, উজ্জল বিশ্বাস, মিলন, ফারুখ, সোহেল, সাজ্জাত, শুকুর আলী, জিহাদ, শেখ গোলাম মস্তফা শওকত, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।