মানুষের বেপরোয়া চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে
স্টাফ রিপোর্টার: ‘গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২১ পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ আয়োজন করে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভায় বিআরটিএ-এর সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. আওলিয়ার রহমান, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন মুক্তা, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন ও নিরাপদ সড়ক চাই কমিটির আইন উপদেষ্ঠা অ্যাড. রফিকুল সভায় বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক শাহ আলম সনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী কবির হোসেন ও পবিত্র গীতা পাঠ করেন বাবু সুনীল মল্লিক। আলোচনাসভায় সরকারি কর্মকর্তা, বিআরটিএর কর্মকর্তা ও নিরাপদ সড়ক চাই’র সাধারণ সম্পাদক হোসেন জাকির।
আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, মানুষের বেপরোয়া চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। মানুষের আচরণের পরিবর্তন হতে হবে। আইন না মানার প্রবণতা মানষের মধ্যে আছে। সু-নাগরিক হিসেবে কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। সড়কে মানুষ পারাপারের জন্য জেব্রাক্রসিং তৈরী ও বিলবোর্ড লাগাতে হবে পথচারীদের সচেতনা বৃদ্ধির জন্য। থাইল্যান্ডের মতো ফ্লাইওভার হতে হবে। ভবিষ্যত পরিকল্পনা করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু ও পদ্মা সেতু সেরকম হয়েছে। রিকশাওয়ালার চেয়ে খারাপ মানুষ। হঠাৎ করেই সড়কে ঢুকে পরে। মানুষের সচেতনা বৃদ্ধির কারণে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। পানি বাহিত ও বায়ু বাহিত রোগ কমেছে। করোনার কারণে ছোটঘাট পানি বাহিত রোগ কমেছে। হাত ধোঁয়ার অভ্যাসটা ধরে রাখলে সরকারের অর্থের অপচয় কমে যাবে। মানুষের সচেতনা বৃদ্ধির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।