স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান, চাল ও গম সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা খাদ্য বিভাগ। এবারও সরকারিভাবে লটারীর মাধ্যমে কৃষকপ্রতি এক মেট্রিক টন বা ২৫ মণ শুকনো ধান ক্রয় করা হবে। সরকারিভাবে বোরো ধানের মূল্য কেজি প্রতি ২৬ টাকা, চালের মূল্য কেজি প্রতি ৩৬ টাকা এবং গমের মূল্য কেজি প্রতি ২৮ টাকা ধরা হয়েছে। জেলায় ধান সংগ্রহ করা হবে ৩ হাজার ৯৮৩ মেট্রিক টন, চাল ৭ হাজার ৬০৫ মেট্রিক টন এবং গম ১৩৩ মেট্রিক টন।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল থেকে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে এবং চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। গম ক্রয় শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে এবং শেষ হবে ৩০ জুন পর্যন্ত। চাল ক্রয় শুরু হবে আগামীকাল ৭ মে থেকে এবং চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চলতি বোরো মরসুমে জেলায় ৩১ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৯০ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি মরসুমে বোরো ধান ৩ হাজার ৯৮৩ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭৫৬ মে. টন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১ হাজার ৩৮৪ মে. টন, দামুড়হুদা উপজেলায় ১ হাজার ৭১ মে. টন এবং জীবননগর উপজেলায় ৭৭২ মে. টন ধান সংগ্রহ করা হবে। চাল ক্রয় করা হবে ৭ হাজার ৬০৫ মে. টন । এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৯১ মে. টন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১ হাজার ৬৫০ মে. টন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৯৪৭ মে. টন এবং জীবননগর উপজেলায় ৩৮১৭ মে. টন চাল সংগ্রহ করা হবে। গম সংগ্রহ করা হবে মাত্র ১৩৩ মে. টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় গমের কোনো লক্ষ্যমাত্রা নেই। আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৫৯ মে. টন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৫০ মে. টন এবং জীবননগর উপজেলায় ২৪ মে. টন সংগ্রহ করা হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী একজন কৃষক সর্বোচ্চ ১ মে. টন বা ২৫ মণ বোরো ধান এবং গম ১৫০ কেজি হতে তিন মে.টন পর্যন্ত সরবরাহ করতে পারবে। জেলার চার উপজেলার মোট ১৯১টি হাসকিং ও ৬টি অটো রাইচ মিলের পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা অনুসারে চালের বিভাজন করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রেজাউল ইসলাম জানান, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকরা ধান ও গম এবং মিল মালিকরা চাল সরবরাহ করতে পারবেন। জেলা খাদ্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মেনে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। তবে, গম পাওয়া যাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, বোরো ধান সংগ্রহে কৃষকদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। নীতিমালা অনুযায়ী লটারীর মাধ্যমে প্রতি কৃষক ১ মে. টন ধান সরবরাহ করতে পারবেন। তিনি আরো জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে ৬ মে. টন ধান এবং ৪ মে. টন চাল উৎপাদন হয়ে থাকে।