স্টাফ রিপোর্টার: গত ১৫ দিন আগে আলমসাধু-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে আলমসাধু চালক সাইফুল ইসলামের দুই পা ভেঙে যায়। কয়েকদিন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পর বাড়িতে চলে যায় সাইফুল ইসলাম। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তবে আর্থিক অনটনের কারণে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। তাই মান অভিমানে সাইফুল ইসলাম নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল সোমবার বেলা ১২ টার দিকে পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের কলোনিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যাকারী সাইফুল ইসলাম (৪৫) ওই এলাকার মৃত খেলাফত শেখের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, সাইফুল ইসলাম পেশায় আলমসাধু চালক ছিলেন। গত ১৫ দিন আগে একটি মোটরসাইকেলের সাথে আলমসাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে সাইফুল ইসলামের দুই পা ভেঙে যায়। ভর্তি করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। কয়েকদিন পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকে সাইফুলকে নেয়া হয় বাড়িতে। ভাঙা দুপা নিয়ে সাইফুল সারাদিন যন্ত্রণায় কাতরাতেন। ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও টাকার অভাবে ঢাকায় নেয়া হয়নি। তাই মান অভিমানে গতকাল বেলা ১২ টার দিকে সবার অজান্তে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পেয়ে সাইফুল ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সাইফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে জেনেছি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।