আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ার ডুমুরিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ায় ২য় শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিল্লাল হোসেন নামে ধর্ষণ চেষ্টার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সঙ্গীয় অপর এক ধর্ষক পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। শিশুটিকে গতকাল শনিবার ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১৬১ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষককে গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে আটক রাখার আদেশ দেন। গ্রেফতারকৃত বিল্লাল হোসেন ডুমুরিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। ধর্ষণ প্রচেষ্টা সাথে জড়িত থাকার অপরাধে শিশুটির পিতা আব্দুর রশিদ খোকা বাদী হয়ে ২ জনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বেলা ২ টার দিকে ডুমুরিয়া উত্তরপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে নানা অপরাধে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন (২২) ও হারুনের ছেলে রিমন (১৫) শিশুটিকে (৯) তালের শাস খেতে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তালবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত যুবক বিল্লাল হোসেন তার মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে রেল লাইনের ধারে ঝোঁপে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শিশুটির চিৎকারে মাঠে থাকা লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে ধর্ষকদের বাঁচাতে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাঁপা দিতে মেয়েটির বাবা-মাকে বলেন, অভিযোগ করলে মেয়েটির বিয়ে হবে না মর্মে জানিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তার পরিবারের ওপর নানা ভয়ভীতি ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করছিলো। নানা হুমকির মুখে অসহায় পরিবারটি ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ঘটনাটি আলোচিত হয়ে উঠলে গত শুক্রবার ইউনিয়ন লোকমোর্চার সভাপতি শেখ আব্দুল ওয়াদুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর ঘটনাটি এলাকায় চাওর হয়ে পড়লে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম স্পর্শকাতর ধর্ষণ ঘটনাটির তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি অসহায় পরিবারটি পাশে এসে দাঁড়ান। অসহায় হতদরিদ্র দিনমজুর পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়ে সার্বিক আইনগত সহযোগিতা ও ধর্ষণ চেষ্টার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে এক যুবককে গ্রেফতার করায় এলাকার সচেতন মহল তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপোরেশন সেলিম মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা মাথাভাঙ্গাকে নিশ্চিত করেন।