চুয়াডাঙ্গার বলদিয়া গ্রামে স্বামী পরিত্যাক্তা ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা তিতুদহ বলদিয়া গ্রামে স্বামী পরিত্যাক্তা জনৈক এক মেয়ে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। মেয়েটি অভিযোগের তীর তুলেছেন পরকীয়া প্রেমিক প্রতিবেশী এক সন্তানের জনক আজমুলের দিকে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রায় সময় আজমুল তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করতো বলে মেয়েটি জানিয়েছে। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি তাকে জানানোর পর সম্পর্ক বজায় রেখে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার পাঁয়তারা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। কিছুদিন হলো বিষয়টি নিয়ে আজমুল টালবাহানা শুরু করে দিলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে চলে আসে। হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েটি তার আনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় পেতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।
অভিযোগে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বলদিয়া বাইনেগাড়ি পাড়ার সালাম মালিতার ছেলে এক সন্তানের জনক আজমুল মালিথা বিয়ের আগে থেকেই প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রতিবেশী দরিদ্র পরিবারের জনৈক এক মেয়ের সাথে। ২০১৪ সালের দিকে দরিদ্র পরিবারের পিতা তার মেয়েকে অন্যত্রে বিয়ে দিয়ে দেন। মেয়েটি অভিযোগ করে বলেন, সেখানে স্বামীর সংসার করতে দেয় না আজমুল। তার কথা রাখতে গিয়ে এক মাসের মাথায় স্বামীর সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে বাপের বাড়িতে চলে আসি। সেই থেকে তার বিয়ে হয়ে গেলেও আমার সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে সে। ঘরে স্ত্রী রেখে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রায় সময় আজমুল তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতো। এরই মধ্যে আমি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। বিষয়টি আজমুলকে জানালে সে পূর্বের ন্যায় আচরণ করতো আর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা চালাতো। বিয়ের জন্য চাপ দিলে কয়েক দিন হলো আমার সাথে আর যোগাযোগ রাখছে না। আমি আমার অনাগত সন্তার পিতৃপরিচয় চাই। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি কিভাবে নিশ্চিত হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়েটি জানান, আধুনিক যুগ, বাড়িতেই পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছি। আজমুলকে জানানোর পর সে বলেছে এটা কোনো ব্যাপার না। আমি তো বিয়েই করবো। এখন সে বেঁকে বসেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আজমুল বলেন, আমার সাথে সম্পর্ক ছিলো ঠিকই তবে কোনো শারিরীক সম্পর্ক ছিলো না। সে আমার ওপর মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছে। মেয়েটি সম্পর্কে গ্রামে এসে খোঁজ নিয়ে দেখেন অনেক কিছু জানতে পারবেন।

 

Comments (0)
Add Comment