বেগমপুর প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে নিজেদের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায় ঘটে হট্টগোল। চেয়ার ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে দিয়ে পণ্ড হয়েছে কমিটি গঠন সভা। এ ঘটনায় লিমন নামের যুবদলের এক কর্মী আহত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির ৮নং ওয়ার্ড কমিটি গঠনের দিন ধার্য ছিলো গতকাল বৃহস্পতিবার। সে লক্ষ্যে তিতুদহ স্কুলমাঠে আয়োজন করা হয় কমিটি গঠনের সভা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দর্শনা থানার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন সভাস্থলে। সভাসূত্রে খাজা আবুল হাসনাতকে প্রধান সমš্বয়কারী ও এম জেনারেলকে যুগ্ম-সমš্বয়কারী করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট দর্শনা থানা সমš্বয় টিম গঠন করা হয়েছে। যারা ওয়ার্ড কমিটি গঠন করবেন। গতকাল নেতৃবৃন্দ কমিটি গঠন করতে গেলে সেখানে থানার বাইরেও জেলা কমিটির সদস্য উপস্থিত থাকায় নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। এসময় লিমন নামের যুবদলের এক নেতা হট্টগোলের বিষয়টি ভিডিও ধারণ করতে গেলে তার ওপর চড়াও হন স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। একপর্যায় লিমনকে মারধর এবং চেয়ার ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে কমিটি গঠন সভা পণ্ড হয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রধান সমš্বয়কারী খাজা আবুল হাসনাত বলেন, তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কমিটি গঠনের তারিখ পরে নির্ধারণ করা হবে। যুগ্ম-সমš্বয়কারী এম জেনারেলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জেলা সমš্বয় টিমের সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেট বলেন, আমি সভাস্থলে ছিলাম না। আর কি নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছে বলতে পারবো না। সমš্বয় টিমের সদস্য ও তিতুদহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করবে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট থানা কমিটি। পৌর কমিটির লোক থাকায় এ বাকবিতণ্ডা, মারধর ও চেয়ার ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। সমš্বয় টিমের সদস্য আবুল হাশেম টোটন বলেন, সভায় হাবিবুর রহমান বুলেটের উপস্থিতি নিয়ে কমিটির অপর সদস্য বিপ্লব কথা তুললে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। কমিটির সদস্যরা একে অপরের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় একসময় বিকট আকার ধারণ করে। মারামারি এবং চেয়ার ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে সবকিছু ভেস্তে যায়।