বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা কুন্দিপুর গ্রামের তামিম পাকিভ্যান চুরি করে হাতেনাতে আটক হয়েছেন। দীর্ঘসময় দেনদরবার করেও সমাধান না হওয়ায় আটককৃত তামিমকে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। অপরদিকে তামিমের আটকের ঘটনায় সাথে থাকা হযরত ও মিঠু সটকে পড়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের ছোট দুধপাতিলা গ্রামের আকরাম আলীর ছেলে রুস্তম আলী গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে পেঁপে কিনতে যান বেগমপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মজিবপাড়ায়। রুস্তম অভিযোগ করে বলেন, ভ্যানটি রাস্তার ওপর রেখে মাঠে যায় পেঁপে কিনতে। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি পাখিভ্যানটি নেই। সন্দেহবসত পাখিভ্যানের খোঁজে সরোজগঞ্জের দিকে যায়। যাওয়ার পথে খাড়াগোদা বাজারে গিয়ে দেখি আমার ভ্যানটি তিন যুবক জনৈক ব্যক্তির নিকট বিক্রির জন্য দামদর করছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুন্দিপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে তামিমকে আটক করি। ভ্যানসহ তামিমকে দোস্তবাজারে নিয়ে আসি। দুপুর থেকে চলতে থাকে দেনদরবার। এদিকে আটকৃত তামিম জনতার সামনে জানান, পাখিভ্যানটি মজিবপাড়ার মানিকের ছেলে হযরত নিয়ে এনে আমার ও হিজলগাড়ির মিঠুনের কাছে দেয়। পাখিভ্যানটি বিক্রি করার জন্য গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাড়াগোদা বাজারে নিয়ে যায়। শেষমেষ আমি ধরা পড়ে যায়; টের পেয়ে পালিয়ে যায় আমার সাথে থাকা হযরত ও মিঠুন। অপরদিকে দিনভর ভ্যানচুরির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনিত হতে না পারায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশ ভ্যানসহ আটককৃত তামিমকে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই শেখ রকিবুল ইসলাম বলেন, উভয়পক্ষকে থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি। এদিকে স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিনে এলাকায় মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি পাখিভ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভ্যানচুরির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনলে সি-িকেটের অন্যান্য তথ্য মিলতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।