গাংনী প্রতিনিধি: জাতীয় ফল কাঁঠাল। ফলের রাজা হিসেবেও সবার কাছে সমাদৃত। এটি শুধুমাত্র একটি মৌসুমী ফলই নয়; পুষ্টিগুণে ভরপুর ও অর্থকরী ফসল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। মেহেরপুরের গাংনীর সর্বত্র এখন কাঁঠাল গাছগুলোতে ঝুলন্ত কাঁঠালে ছেঁয়ে আছে। কোনো কোনো এলাকায় আগাম জাতের কাঁঠালগুলো পাঁকতে শুরু করেছে। পাঁকা কাঁঠালের মিষ্টি গন্ধে কীট পতঙ্গরা ভিড় করছে গাছে গাছে। আর সেই আনন্দে বাগান মালিকরা গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত। তবে কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করণের কোনো সুবিধা না থাকায় এ এলাকার মানুষেরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা জানান, হাট-বাজারগুলোতে পাঁকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই আছেন প্রতি বছরই প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেন। দুই থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম। এ সময় পাইকার ও শ্রমিক শ্রেণির লোকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাঁঠালের ফলনও ভালো হয়েছে। গত বছরে কাঁঠাল কম ধরেছিলো তাই দাম একটু বেশি ছিলো। এবার অনুকুল আবহাওয়ার কারণে ফলন বেশি হয়েছে। তাই অনেক কম দামে কাঁঠাল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
এলাকার অনেকেই মন্তব্য করেছেন, অন্যান্য ফল ও গাছ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যত তৎপরতা লক্ষ করা যায়, কাঁঠাল নিয়ে তার সিঁকি ভাগও হয় না। অথচ কাঠাল একটি অর্থকরী ফসল ও জাতীয় ফল। কোন পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় ও অবাধে কাঠাল গাছ নিধন হওয়ায় এখন কোনো বাগান পাওয়া যায় না। বাড়ির আঙ্গিনাতে বা রাস্তার ধারে অনেকেই গাছ লাগান। সরকার একটু নজর দিলেই অনেকেই কাঠাল বাগানে উদ্বুদ্ধ হতো।
উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী আকতার জানান, কৃষিপণ্য কাঁঠাল মূলত একটি মৌসুমী সুস্বাদু ফল। কাঁঠালের বিচি তরকারীতেও সমান জনপ্রিয়। এলাকায় কোনো কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার বাবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা গড়ে তুললে এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে।