গভীর নিম্নচাপটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

স্টাফ রিপোর্টার: বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি ঘনীভূত হয়ে আজ রোববার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এর প্রভাবে আগামী বুধবার সারা দেশে কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী সোমবার পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত বাড়ার আশঙ্কা আছে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা কালের কণ্ঠকে বলেন, নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। গতিপথ অনুযায়ী এটি বাংলাদেশের পরিবর্তে ভারতের হারিয়ানা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় না হলেও দেশে এর কিছুটা প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন, আগামী বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কমবেশি বৃষ্টি হবে। ভারি বৃষ্টিপাত হবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হবে উত্তরাঞ্চলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এ সময় দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। গতকাল শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বাদলগাছিতে ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ছিলো ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩০ দশমিক ৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবারসন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হজার ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিলো। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে। এতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নি¤œচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।