চুয়াডাঙ্গায় করোনা চিকিৎসা সঙ্কট ও উত্তরণে করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোর্টার: কোভিড-১৯ চিকিৎসা সংকট ও উত্তরণে করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাত ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সাংস্কৃতিক মঞ্চের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোভিড-১৯ চিকিৎসা সংকট ও উত্তরণে করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময়সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। অতিথি হিসেবে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা বিএমএ’র সভাপতি মার্টিন হীরক চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক মাথাভাঙ্গার সম্পাদক ও প্রকাশক সরদার আল আমিন, দৈনিক সময়ের সমীকরণের প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন। আলোচক হিসেবে ছিলেন অনির্বাণের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সংলাপের সভাপতি নজির আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক হাবিবি জহির রায়হান, আলমডাঙ্গার নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় সভাপতি হামিদুল আজম, চুয়াডাঙ্গার আবৃত্তি পর্ষদ পরিচালক মনোয়ারা খুশি, দর্শনার আনন্দধামের পরিচালক মিল্টন কুমার সাহা। সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন অরিন্দম’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সৈকত। কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ সারাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং তার মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে চুয়াডাঙ্গা অবস্থা বেশ নাজুক বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। এমতাবস্থায় অতিথি ও আলোচকবৃন্দ স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো- দ্রুততম সময়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আধুনিক উপকরণসহ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপন করা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা কার্যকরভাবে পরিচালনা। হাসপাতালের সকল বিভাগের শূন্যপদে অতিসত্বর ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের ব্যবস্থা করা। জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাজুক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা। একই হাসপাতাল ভবনে বা গ্রান্ডে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প, করোনা পরীক্ষা না করে ভিন্ন ভিন্ন ভবনে এবং স্থানে সরিয়ে নেয়া ইত্যাদি। উপরোক্ত দাবী ও সমস্যার আলোকে জেলা প্রশাসক মহোদয় বক্তব্য রাখেন এবং জেলাবাসীকে আশস্ত করে জেলা প্রশাসনের ও ব্যক্তিগত নানামুখি উদ্যোগ ও তৎপরতার কথা আলোচনা করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী ১-২ সপ্তাহের মধ্যে আইসিইউ স্থাপনের কাজ শুরু হবে। পিসিআর ল্যাবের প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতালের স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা আছে। এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। আমাদের জেলার জন্য বেশি বেশি টিকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাবনা দেয়া আছে। হাসপাতালের মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে। বেসরকারি পর্যায়ের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাদের এক্টিভিটি দিয়ে সচেতনতামূলক কর্মকান্ড চালাতে পারে। পরিশেষে অনলাইন শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা প্রশাসক ও অতিথিগণ। আগামীতে সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে এই ধরণের আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।