ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরের জালালপুর দাখিল মাদরাসার নিয়োগে চাকরি পেয়েছে ১৩ বছরের কিশোর মর্মে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ জুন সুপারসহ ৪টি পদে নিয়োগে জালালপুর গ্রামের কাইয়ুম মোল্লার ছেলে আব্দুল্লাহকে পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আব্দুল্লাহর আবেদনপত্রে জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ২০০০ ইং তারিখ দেয়া আছে। সে মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট থেকে জন্ম নিবন্ধন সদন সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের মাদরাসা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত জুনিয়র দাখিল পরীক্ষার সনদে জন্ম তারিখ আছে ১৫ ডিসেম্বর ২০০৫ সাল। সেই অনুযায়ী আব্দুল্লাহর বর্তমানে বয়স হয় সাড়ে ১৩ বছর। এ ঘটনায় স্থানীয়রা বলেন, এ নিয়োগে ব্যাপক জালিয়াতি ও অনিয়ম আছে যা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে। যেখান থেকে আলেম ওলামার জন্ম সেখানে যদি এ ধরেনর ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ হয় তাহলে দেশে কিভাবে ভালো আলেমের জন্ম হবে। দুর্নীতিযুক্ত নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান তারা। জন্ম সনদ প্রসঙ্গে কুশনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা কাউকে জন্ম সনদ দিই তাহলে তার বয়স প্রমাণের জন্য বিদ্যালয়ের প্রতায়নপত্র অথবা কোনো ডাক্তারের প্রত্যায়নপত্র এবং টিকার কার্ড নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে জালালপুর দাখিল মাদরাসার সুপার ইলিয়াস মাদরাসার প্যাডে প্রত্যায়নপত্র দেয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ দেয়া হয়েছে। জালালপুর দাখিল মাদরসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওবায়দুল হক বল্টু মিয়া বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বনি¤œ বয়সের নির্ধারণ নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ডিজির প্রতিনিধিসহ ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ কমিটি থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রতন আলী বলেন, আমরা সার্টিফিকেটে বয়স সঠিক দেখেই নিয়োগ দিয়েছে। যদি কোনো ঘুষ লেনদেন হয় তা সভাপতি জানতে পারে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে হয়েছে। যদি বয়সের সমস্যা থাকে তবে তার এমপিও হবে না। এমপিও না হলে বেতন হবে না। তারপরেও আমি ফাইল আবার দেখবো।