দর্শনা অফিস: কেরুজ চিনিকলে চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের প্রজন্ম আন্দোলন শুরু করেছে। করেছে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ। গতকাল রোববার বেলা ১১ টার দিকে কেরুজ ডিস্টিলারি গেটের সামনে দর্শনা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। ২০১৯-২০ আখ মাড়াই মরসুমে কেরুজ চিনিকলে নিয়োগ দেয়া হয় প্রায় ২১৬ জন শ্রমিককে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিয়োগের শতকরা ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়ে থাকে। চলতি মরসুমের শুরুতেই গত মরসুমে নিয়োগকৃতদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের নেয়া হয়নি। ফলে ফুঁসে উঠেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান কমান্ড। চাকরিতে বহাল রাখার দাবিতে রাজপথে নেমেছে তারা। প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার তানজিল আহমেদ। আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট কমান্ডার আবু হোসেন, জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, দামুড়হুদা উপজেলা কমান্ডার বিল্লাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান, রেজাউল করিম সবুর, নাসির উদ্দিন, আ. সাত্তার, সিরাজুল ইসলাম, আ. খালেক, আ. মালেক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহ-সভাপতি ইয়াছির আরাফাত মিলন, দামুড়হুদা উপজেলা সন্তান কমান্ডের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ সান্টু, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। এ ব্যাপারে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাঈদ জানান, এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান সরকারি বিধি মোতাবেক পরিচালিত হয়ে থাকে। চলতি বছরের ১৪ মে সদর দফতর থেকে প্রতিটি চিনিকলে পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে লোকসান কমাতে তাদের অনুমতি ছাড়া কোনোপ্রকার কানা-মনা, চুক্তি-ভিত্তিক ও দিন হাজিরায় কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। সরকারের সব সিদ্ধান্ত মেনে চলা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।