কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতির নির্বাচনের দুদিন আগে কেন্দ্র পরিবর্তন : তিন প্রার্থীর আপত্তি

 

হাসমত আলী: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতির নির্বাচন ৫ নভেম্বর শনিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রার্থীরা যখন ব্যস্ত সময় পার করছেন, নির্বাচন কমিশন ভোটের দুইদিন আগে হঠাৎ কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র পরিবর্তন করে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে হলরুমে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কার্পাসডাঙ্গা ডিএস দাখিল মাদরাসার সাবেক শিক্ষক মো. গোলাম ইউসুপ, সহকারী নির্বাচন কমিশনার মো. আশরাফুল হক ও মো. আব্দুস সালাম কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল করিমের সাথে দেখা করেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক ও কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার গোলাম ইউসুপ জানান, ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত স্থান ছিলো কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কিন্তু ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে স্থগিত পরীক্ষা আগামী ৫ নভেম্বর যশোর বোর্ডের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে এসএসসি ২০২৩ সালের পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সে কারণে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গনণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু পরিষদ শনিবারে সরকারি ছুটি থাকে। ভোট পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোট যথা সময়ে হবে। যার কারণে কেন্দ্র পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি।

এদিকে অভিযোগকারী তিন প্রার্থী ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা এবং ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গেজেটের বরাত দিয়ে জানান, কেন্দ্র পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে ভোটগ্রহণের তারিখ থেকে কমপক্ষে ২৫ দিন আগে সরকারি  গেজেটে প্রকাশ করতে হবে। ভোট গ্রহণের দুইদিন আগে কেন্দ্র পরিবর্তন নির্বাচনী নীতিমালার পরিপন্থী।

এ বিষয়ে সাংগঠনিক প্রার্থী ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তুহিন আক্তার বলেন, ভোট ইউনিয়ন পরিষদে হলে মানবো না প্রয়োজনে দোকান মালিক সমিতির ঘরে হোক। না হলে ভোট বর্জন করবো।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাজমুল সালেহীন ও সভাপতি প্রার্থী আলমগীর রাসেল দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হলে মানবো না প্রয়োজনে ভোটের তারিখ পরিবর্তন করা হোক আর না হলে কার্পাসডাঙ্গা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তা না হলে অর্নিবান ক্লাবে ভোট হোক। আমরা প্রয়োজনে ভোট বর্জন করবো। নিরপেক্ষ জায়গায় ভোটকেন্দ্র করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোস্তাফিজ কচি জানান, আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাশীল। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে আমার কোনো আপত্তি নেই। অপর সভাপতি আজিবর রহমান সিজারের সাথে ফোনে  যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ার কারণে তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতির নির্বাচন মোট ৭৭০ ভোটারের ১৭টি পদে মধ্যে ১১টি পদের বিপরীতে ১২জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং ৫টি পদের বিপরীতে ১১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Comments (0)
Add Comment