আলমডাঙ্গা ব্যুরো: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে সারাদেশে। লকডাউনের প্রথমদিনের মত চতুর্থ দিনেও আলমডাঙ্গায় শহরের সড়কে মানুষের চলাচল ছিলো স্বাভাবিক। লকডাউনের চারদিনই সড়কে মাঝে মধ্যে মোটরসাইকেল ও ভ্যান চলতে দেখা গেছে। শনিবার সকাল থেকে পুলিশ বেশকিছু ভ্যান ও মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। শহরে কয়েকটি প্রবেশ মুখে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। কিছু মুদি দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তবে গার্মেন্টস ও কাপড় পট্টির কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা গতবারের মত চোর পুলিশ খেলা শুরু করেছে। গার্মেন্টস ও কাপড়পট্টির কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সকালে গিয়ে দোকানের সামনে গিয়ে বসে থাকে। কাস্টমার এলে তারা দোকানের সার্টার তুলে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বন্ধ করে দেয়। কাস্টমারের কেনাকাটা শেষ হলে সুযোগ বুঝে আবার বের করে দেয়। শহরে শুধুমাত্র ওষুধ ও হোটেলগুলো খোলা রয়েছে। তবে বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে সবজি বাজারে। লকডাউন কার্যকরী করতে সকাল থেকে মাঠে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার ম-ল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবীর ও থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর, পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন দেবদ্রত রায়। যৌক্তিক কারণ ছাড়া যারা লকডাউনে বাইরে ঘোরাঘুরি করেছেন তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ জনকে জরিমানা করেছেন। এরা হলেন কালিদাসপুরের হাসু মিয়াকে ৫শ টাকা, সাদিক আলীকে ৫শ টাকা, হাসান আলীকে ৫শ টাকা, আসাননগরের কাওছার আলীকে ২শ টাকা, পাবনার গোলাম মোর্শেদকে ৫শ টাকা, গোবিন্দপুরের সুমন দাসকে ৫শ টাকা, ফারুককে ৫শ টাকা, শাফিকে ৩শ টাকা, চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়ারের মেহেদী হাসানকে ২শ টাকা, হাউসপুরের ফরহাদ রেজাকে ৫শ টাকা জরিমানা করেন।