আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় ভিক্ষুক পূনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসূচির আওতায় ৪ জন ভিক্ষুককে গরু ও একজন ভিক্ষুককে পাখি ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গরুসহ উপকরণ বিতরণ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গা সমাজসেবা কার্যালায়ের আয়োজনে এ উপকরণ ও আর্থিক অনুদান বিতরণ করা হয়। জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে প্রাপ্ত আর্থিক অনুদান এবং পূনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় উপকরণ ও আর্থিক এ অনুদান বিতরণ করা হয়। উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, “বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর। তিনি একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলার স্বপ্ন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাদের বাড়ি নেই তাদেরকে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন এবং যাদের জমি ও বাড়ি কিছুই নেই। তাদেরকে জমি লিখে দিয়ে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। ভিক্ষুক মুক্ত দেশ গড়তে আপনাদের নগদ টাকা, গরু, পাখিভ্যান দিচ্ছেন। প্রধান মন্ত্রীর দেয়া গরু যতœ সহকারে লালন পালন করবেন। দেখবেন আর ভিক্ষাবৃত্তি করা লাগবে না। বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দীকা সোহেলী রশীদ, সহকারী পরিচালক আবু তালেব, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, সহ-সভাপতি রিপন হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, আশিকুজ্জামান ওল্টু, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হোসাইন। কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজা উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, ফিল্ড সুপার ভাইজার নাজমুল হাসান পলাশ, আলমডাঙ্গা সমাজ সেবা অফিস উচ্চমান সহকারী মনিরুজ্জামান, ইউনিয়ন সমাজকর্মি হাফিজুর রহমান, খোদা বকস, শহিদুল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম, সালমা খাতুন, কারিগরি প্রশিক্ষক আব্দুল কাদের, শামিম আলী, কামাল হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও পরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ২৪ জনকে আর্থিক অনুদানের টাকা দেয়া হয়।