স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গায় ধর্ষণের শিকার মাদরাসা ছাত্রী দুই বান্ধবীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে তাদের দুজনের ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষণকারী দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা হলেও এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্ত ধর্ষণকারী দুই বন্ধু হলো আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের ইয়াকিন আলীর ছেলে আশিক (১৭) ও তার বন্ধু একই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে নিশান (১৭)।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার দুই বান্ধবীর সঙ্গে মাস চারেক আগে পরিচয় হয় দুই বন্ধুর। সেই থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোববার রাত ৮টার দিকে নিশান মোবাইলে ডাক দেয় দুই বান্ধবীকে। তারা বাড়ির বাইরে বের হলে নিশান মোটরসাইকেলে তুলে উপজেলার ওসমানপুর-হারদী মাঠের নির্জন বাঁশবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলো নিশানের বন্ধু আশিক। তারা দুই বন্ধু বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের নিজ নিজ প্রেমিকাকে উপর্যুপুরি ধর্ষণ করে। পরে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার দুই বান্ধবীকে মোটরসাইকেলযোগে নিশান বাড়ির কাছাকাছি রেখে দ্রুত সটকে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে দুই বান্ধবী আলমডাঙ্গা থানায় তাদের নিজ নিজ প্রেমিকের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায় তাদের। সেখানে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর তারা আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে দুই ভিকটিমের ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ বুধবার বয়স নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই বন্ধু তাদের দুই প্রেমিকাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। তারা চারজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। মঙ্গলবার সকালে ধর্ষণের শিকার দুই বান্ধবী আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।