আলমডাঙ্গা ব্যুরো:
আলমডাঙ্গায় এক তালাকপ্রাপ্ত নারীর বিরুদ্ধে সেনা সদস্যের সাথে ধর্মভাই পাতিয়ে পরে প্রতারণা করে করে বিয়ে করার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সেনা সদস্যের পিতা রবজেল হোসেন। প্রশাসনের নিকট এ ঘটনা তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে ওই সংবাদ সম্মেলনে।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে মাজু গ্রামের রবজেল হোসেন উল্লেখ করেছেন, হাসান ও তরিকুল ইসলাম মানিক নামের দুটি ছেলে সন্তান আছে তার। কোনো মেয়ে সন্তান না থাকায় বড়ছেলে হাসান আলমডাঙ্গায় বসবাসরত শিরিনা আক্তার ও রোজিনা নামের দুইবোনের সাথে ধর্ম আত্মীয় (বোন) সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রায় ১ বছর ধরে তাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক চলে আসছিলো। মাঝে মাঝে তারা একে অপরের বাসায় আসা যাওয়া করতো। তরিকুল ইসলাম সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। ছুটিতে বাড়ি এলে মাঝে মাঝে ধর্ম বোনের বাড়িতে বেড়াতে যেতো। এরই একপর্যায়ে রোজিনা খাতুন ধর্ম ভাইয়ের বাড়ি মাজু গ্রামে গিয়ে হাসানের ছোট ভাই সেনা সদস্য তরিকুল ইসলামের ছবি ও আইডি কার্ড চুরি করে নিয়ে আসে। তার কিছুদিন পর সেনা সদস্য ছুটিতে বাড়ি আসে। গত ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর শিরিনা আক্তার মোবাইলফোনের মাধ্যমে সেনা সদস্যকে চুয়াডাঙ্গায় একটি কাগজ আনতে যাবে বলে ডেকে নেয়। কৌশলে শিরিনার ছোটবোন রোজিনা খাতুনের সাথে সেনা সদস্যের ছবি মোবাইলে ধারণ করে। এরপর তাকে মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতারণনার মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নের কাজী আবুল হাসেম (বিএ)’র মাধ্যমে বিয়ে পড়ায়। রোজিনার বয়সের চেয়ে প্রায় ১০ বছরের ছোট হওয়ার পরও ওই সেনা সদস্যকে জোরপূর্বক বিয়ে করেছে। রোজিনা খাতুন তালাকপ্রাপ্তা ও এক সন্তানের জননী হওয়ার পরও কাবিননামায় অবিবাহিতা দেখিয়ে প্রতারণা করেছে। রোজিনার গ্রামের বাড়ি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের ঠিকানায় আগের স্বামীকে তালাক দিয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু সেনা সদস্যকে বিয়ের সময় তার বাড়ি ঠিকানা গোবিন্দপুর উল্লেখ করে আরো একটি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট এ জঘন্য প্রতারণার বিচার দাবী করেছেন সেনা সদস্যের পিতা রবজেল হোসেন।