ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় আপন খালুর লালসার শিকার এক প্রতিবন্ধী যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। দারিদ্র্য ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গ্রামের প্রভাবশালী খালু মকছেদ আলী তাকে ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রভাবশালী মকছেদ আলী গা ঢাকা দিয়েছেন। অন্তঃসত্ত্বা কন্যাকে নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে দরিদ্র পরিবারটি। এ অবস্থায় তারা কী করবে কিছুই বলতে পারছে না।
সরেজমিনে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার সাহেবপুর গ্রামে দরিদ্র পরিবারের সবাই প্রতিবন্ধী। পিতা শ্রবণ প্রতিবন্ধী। মা মানসিক প্রতিবন্ধী। একমাত্র সন্তান যুবতী (১৮) মানসিক প্রতিবন্ধী। সরকারের দেয়া বিভিন্ন ভাতা ও এলাকাবাসীর সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবন্ধীদের সংসার চলে। তাদের অসহায়ত্বের সুযোগে একই গ্রামের আবুল হোসেন ওরফে চতুর আলীর ছেলে ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী মকছেদ আলীর (৬৫) নজর পড়ে ভায়রার মেয়ের দিকে। তাই তিনি প্রায়ই সন্ধ্যার পর তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে প্রতিবন্ধী কন্যার শারীরিক গঠন ও বমি করা দেখে প্রতিবেশীরা সন্দেহ করে। পরে প্রতিবন্ধী যুবতীর মাধ্যমে জানা যায় তার খালু দীর্ঘদিন তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এ কারণেই সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। গ্রামের অনেকেই জানায়, বিষয়টি নিয়ে গ্রামে কয়েক দফা সালিস হয়েছে। সালিসে চার সন্তানের জনক প্রভাবশালী মকছেদ আলী তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেন এবং বলেন ওই যুবতীকে তিনি বিয়ে করেছেন। তবে তিনি সালিসে বিয়ের কোনো কাবিননামা দেখাতে পারেননি। এদিকে গত কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত মকছেদ আলী গ্রাম থেকে সটকে পড়েছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল বারী মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ‘মানসিক প্রতিবন্ধী যুবতী এখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার পরিবারের সবাই প্রতিবন্ধী। তাই তারা আইনি সহায়তার ব্যাপারেও কিছু বোঝে না। গ্রামবাসী ভাবছে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক মকছেদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করবে। প্রভাবশালী মকছেদ আলী প্রভাবশালী হলেও গ্রামবাসীর চাপে তিনি গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন ‘বিষয়টি কয়েকদিন আগেই আমার কানে এসেছে। আমি সরেজমিনে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু এ বিষয়ে কেউ এখনও মামলা করেনি। মামলা করলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’