স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক দেশ বরেণ্য চিকিৎসক, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে এবং আমার আব্বা আম্মার অনুপ্রেরণায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। পিতা মরহুম প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন ও মাতা মরহুমা হাজেরা মোরাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার পবিত্র রমজান মাসের ২০তম রোজায় প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর গ্রামের বাড়ী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলায় হাজেরা মোরাদ রয়েল প্যালেসে প্রায় ১২শ জনের অংশগ্রহণে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, এনএসআই’র উপ-পরিচালক জিএম জামিল সিদ্দিক, সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা আ.লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক রাকিব আহমেদ জনি, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা আওয়ামী কৃষকলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সদস্য হাসানুজ্জামান কিরণ, আওয়ামীলীগ নেতা কামাল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, তৈয়ব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন, রেল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম মেহেরুন সেল্টন জোয়ার্দ্দার প্রমুখ। পরে সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম তালতলায় হাজেরা মোরাদ রয়েল প্যালেসে আসেন। তিনি প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেন, আমার আমন্ত্রণে আপনারা যারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইফতার দোয়া মাহফিলে এসেছেন, সকলকে আমার অন্তর থেকে শুকরিয়া জানায়। আমার পিতা-মাতার মৃত্যুবার্ষিকীতে এ দোয়া মাহফিলে আপনারা তাদের জন্য দোয়া করবেন। এসময় প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আমার আব্বা-আম্মা সবসময় ভালো চিন্তা করতেন। তারা শুধু আমাদের কথাই ভাবেননি, তারা ভেবেছিলেন সকল মানুষের কথা। একবার পাকবাহিনী মেজর এজাজ আহমেদ খান, আমিসহ আরও প্রায় ২০ জনকে আটক করেছিলো। আমার আম্মা সেখানে গিয়ে ইংরেজিতে কথা বলে আমাদের মুক্ত করে আনেন। দেশপ্রেম তাদের থেকেই শেখা। আমার আব্বা-আম্মার অনুপ্রেরণায় ছাত্র থাকাকালে দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী আরও বলেন, আমি আমার পিতা-মাতার দেখানো পথ অনুসরণ করেই চলি। সবসময় পিতা-মাতার শেখানো পথ অনুসরণ করেই মানুষের পাশে থাকবো। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদ, দেশ ও জাতির শান্তি কামনা, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির সুস্থতা কামনা ও মরহুম প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন ও মরহুমা হাজেরা মোরাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ওলিউল্লাহ হামিদি, তালতলা জামে মসজিদের ইমাম আলতাফ হোসেন ও কুটিপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম বেলাল হোসেন। দোয়া ও ইফতার মাহফিলের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন চ্যাটার্ড একাউটেন্ট আসাবুল হোসেন আঙুর ও ব্যারিস্টার তানভীর মুনির।