মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার ভবিষ্যতে সংগঠন স্বার্থ পরিপন্থি কার্য্যক্রম ও সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরবার ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভিযোগে ইতোপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে আপনাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। আপনার বিরুদ্ধে আনীত সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ স্বীকার করে আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী সংসদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কোন কার্য্যকলাপে সম্পৃক্ত হবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন। এমতাবস্থায়, গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গণঠতন্ত্রের ১৭ (৬) এবং ৪৭ (২) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী সংসদের নিকট সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে আপনার প্রেরিত লিখিত আবেদন পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকান্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা থেকে ক্ষমা পেয়ে পিটিআই মোড়ে আসলে কয়েকশত নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধনা দিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে এবং গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের বাড়ির সামনে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি হুমায়ন কবির, সাধারন সম্পাদক ইকরামুল হক, সাবেক যুবলীগ নেতা রানা আহমেদসহ রশিদুল, আলমগীর, জাকির, পলাশ, ইমান, শান্তি, শরিফ, হামিদুল, আকাশ, আলী, উজ্জাল মেম্বার, সেলিম, রমজান, আসাদ, রুবেলসহ অসংখ্য নেতাকর্মীবৃন্দ।