স্টাফ রিপোর্টার: অসুস্থ প্রধান শিক্ষকের ২দিনের বেতন কেটে নিলেন অন্তবর্তীকালীন (এডহক কমিটি) স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের অসুস্থ প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে জানান, আমি এ বিদ্যালয়ের প্রায় জন্মলগ্ন থেকে (০১-০১-১৯৮৩ সাল) ৩৮ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার অবসর নেয়ার সময় চলে এসেছে। আমি কিছুদিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছি। সে কারণে ইচ্ছে থাকা সত্বেও অসুস্থতা জনিত কারণে বিদ্যালয়ে মাত্র দু-দিন আসতে (হাজিরা) দিতে পারেনি। আমার ৩৮ বছরের চাকরি জীবনে অনেক অনেক সিএল পাওনা আছে। আমি সেগুলো ভোগ করেনি। আর চাকরি জীবনের শেষ সময়ে এসে আমি অসুস্থ সত্বেও প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক সভাপতির যোগসাজসে আমার অশুপস্থিত দেখিয়ে ২দিনের বেতন কেটে নেয়া হলো। সভাপতির বাইফোর্স নির্দেশে নিজহাতে নিজের বেতন কাটতে বাধ্য হয়েছি। এটি আমার জীবনের জন্য চরম অপমানজনক ও অসম্মানকর। এটি শুধু আমার জীবনের জন্য নয়, গোটা শিক্ষক সমাজের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি আমার চাকরি জীবনে কতো শিক্ষার্থীর বেতন মওকুফ করেছি, নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করিয়েছি। কতো শিক্ষক-কর্মচারীর বিনা কৈফতে ছুটি মঞ্জুর করেছি। আজ শেষ বয়সে এসে নিজেই নিজের বেতন কাটতে বাধ্য হলাম। আমি খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে ২৬ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে জীবন অতিবাহিত করেছি। এখন আমাকেই পদে পদে অপমাণিত ও অসম্মানিত হতে হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষকের ২দিনের বেতন কর্তনের বিষয়ে ঘোলদাড়ি বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অন্তরবর্তীকালীন পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আইজদ্দীন নিকট মুঠোফোনে জানার চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।