স্টাফ রিপোর্টার: সময়ের অনুভবে হামিদুল হক মুন্সী শীর্ষক স্মারকগ্রন্ধের লেখকদের মিলন মেলায় কেউ বলেছেন, তিনি বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী, কেউ বলেছেন তিনি কুসংস্কার তাড়িয়ে আলো ছড়ানোর বাতিঘর। স্বয়ং তার সহধর্মিনী বলেছেন, উনি বিপ্লবী। সমাজকে অন্য উচ্চতায় নেয়ার কারিগর। সাহিত্য অঙ্গন সমৃদ্ধকরার অদম্যকর্মী চুয়াডাঙ্গার গৌরব বলেও অখ্যায়িত করলেন কেউ কেউ।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় চুয়াডাঙ্গার প্রবীণ হিতৈষী কার্যালয়ের মিলনতায়নে অনুষ্ঠিত স্মারকগ্রন্থের লেখকদের মিলন মেলায় অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সীর উপস্থিতিতে উপরোক্ত অভিমতছাড়াও তার দীর্ঘ পথচলার পরতে পরতে, বাঁকে বাঁকে থাকা নানা ছবিও তুলে ধরেন অনেকে। সময়ের অনুভবে হামিদুল হক মুন্সী নামক বইয়ের সম্পাদক মালেকা হক মাখনের সভাপতিত্বে আলোচনাপর্বে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ আইনজীবী সাংবাদিক কামরুল আরেফিন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব নজির আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাথাভাঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী, কবি ও ছড়াকার ইদ্রিস আলী ম-ল, অরিন্দম সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাট্যকার মো. আলাউদ্দীন, প্রবীণ হিতৈষী সংগঠনের অন্যতম নেতা আবু বকর, ছড়াকার আনছার আলী, আলফাজ উদ্দীন ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন প্রমুখ। গ্রন্থের প্রচ্ছদ আঁকা শিক্ষার্থী ইমরান আহসান অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, পেন্সিল স্কেসে স্যারের ছবিটা যে বইয়ের ওপর ছাপা হবে ভাবিনি। বহু ছবি এঁেকছি। আমার ছবি একজন গুণি মানুষের নিয়ে লেখা গ্রন্থের প্রচ্ছদ হয়েছে দেখে আমি আবেগ আপ্লুত। আরও কিছু আঁকার উৎসাহ জাগছে।
স্বাগত বক্তব্যে বয়সী রোদের বিউগল কাব্যগ্রন্থসহ ৩২টি গ্রন্থের লেখক ও সম্পাদক হামিদুল হক মুন্সী বলেন, আমাকে নিয়ে লেখকদের যে অনুভূতি, অভিব্যক্তি প্রকাশ তা পড়ে নিজেকে নতুন করে চিনতে সহজ হয়েছে। শিক্ষকতার পাশাপাশি সব সময়ই সাহিত্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করেছি। অবিরাম পথ চলায় কখন যে এতোকিছু হয়ে গেছে এখন ভাবলে ভাললাগে। আরও বেশি ভাল লাগছে আজকের লেখক মিলনমেলা দেখে। গ্রন্থের সম্পাদক তথা যার সম্পাদনায় গতিধারা প্রকাশনা সংস্থা গ্রন্থটি প্রকাশ করেছেন তিনি মালেক হক মাখন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ২৭২ পৃষ্ঠার বইয়ে ৮৭ জন লেখকের লেখা তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। দু একজনের লেখা অসতর্কতার কারণে বাদ পড়তে পারে। বাদ পড়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ বইয়ে যারা লেখা দিয়েছেন তাদের লেখায় তেমন কোনো সংযোজন বা বিয়োজন করা হয়নি। বানান দেখে যথযথভাবে বইয়ের পাতায় তুলে ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা হয়েছে। এরপরও ত্রুটি থাকলে দ্বিতীয় সংস্করণে অবশ্যই সংশোধন করা হবে।
মালেকা হক মাখন বলেন, মুন্সি সাহেবের সর্বক্ষেত্রেই মুন্সিয়ানা লক্ষ্য করেছি। একই ছাদের নিচে একসাথে বসবাসের সুবাদে খুক কাঁছ থেকে দেখে আমিও শিখেছি কীভাবে ধৈর্য্যশীল হতে হয়। কীভাবে সৃজনশীল মানসিকতা লালন করে সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হয়। যাকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থ তাকে পাশে নিয়ে আমরা লেখকদের মিলন মেলা করে যে অনুভূতির কথা শুনলাম, তাও ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে বলে আমার বিশ^াস। এ বইয়ে যারা লেখা দিয়ে বিশেষ উদ্যোগকে স্বার্থক করেছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।