স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের বাউল সম্রাট পূর্ণদাস বাউল সাত দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। গত রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট হয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। আগামী ২৬ মার্চ পূর্ণদাস বাউল একই পথে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় পূর্ণদাস বাউলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, বাউলশিল্পী আব্দুল লতিফ শাহ ও স্থানীয় সুধীসমাজ। এ সময় তিনি কেরুজ রেস্টহাউজে কিছু সময় কাটান। সেখান থেকে আলমডাঙ্গার জাহাপুরে যান পূর্ণদাস বাউল। এ সময় দেশের প্রথম একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউলশিল্পী খোদা বকস শাহ’র মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান পূর্ণদাস বাউল। মাজারে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রয়াত খোদা বকস শাহ’র ছেলে আব্দুল লতিফ শাহ ও নাতনী সোনিয়া। ওইরাতেই তিনি কুষ্টিয়ার ছেঁউরিয়ায় লালন একাডেমীতে চলে যান। এরপর তিনি ঢাকা যাবেন বলে জানা গেছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের পূর্ণদাস বাউল একাধারে গীতিকার ও শিল্পী। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৪০টির মতো দেশে ভ্রমণ করেছেন। আব্দুল লতিফ শাহ জানান, পশ্চিমবাংলার শান্তি নিকেতনে ১৯৮২ সালে অধ্যাপক মুনসুর উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ১ মাসের লালন শাহ’র ওপর ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে পূর্ণদাস বাউল ও খোদা বকস শাহ’র পরিচয় ঘটে। ওই সময় পূর্ণদাস বাউল খোদা বকস শাহ’র গান শুনে বিমোহিত হন এবং তাকে বাবা বলে ডাকেন। এ কারণে খোদা বকস শাহ’র মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে খোঁজখবর নেন। এ সময় পূর্ণদাস বাউলের টিম সদস্য ছেলে দ্রিপিন্দ্র নাথ ছোটন, গণেশ ঘোষ, পাপিয়া দাস, লাকি কর্মকার ও শ্রীধাম কর্মকার সাথে ছিলেন।