মাথাভাঙ্গা অনলাইন: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় আরও ২৭ রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। চার জেলার ৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ২৭ জন রোগী শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যশোর জেলায় ১৪ জন। শনিবার পরীক্ষা শেষে রবিবার সকালে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে যবিপ্রবি’র জিনোম সেন্টারে ৬৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো।
যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে শনিবার ৮ম দিনে চার জেলার ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যশোর জেলায় ১৪ জন রোগী। ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া ঝিনাইদহ জেলার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জন করোনারোগী পাওয়া গেছে। আর নড়াইলের ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জন এবং মাগুরার ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এর আগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে শুক্রবার ৭ম দিনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যশোর জেলায় ৯ জন রোগী। এছাড়া ঝিনাইদহ জেলায় ২ জন ও নড়াইলে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হন। এদিন ৫ জেলা থেকে ৯৫টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
বুধবার ৬ষ্ঠ দিনের নমুন পরীক্ষায় ১২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৬ জন রোগী। এছাড়া যশোরে ২ জন, কুষ্টিয়ায় ২ জন, মেহেরপুরে একজন ও মাগুরায় একজন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। বুধবার ৭ জেলা থেকে ৮৪টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। এদের মধ্যে থেকে পরীক্ষার পর ওই রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আর মঙ্গলবার ৫ম দিনে যবিপ্রবি ল্যাবে নমুন পরীক্ষায় ১৩ জন কোডিভ-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল নড়াইলে ৫ জন। এদের মধ্যে ৪ জন চিকিৎসক ছিলেন। এছাড়া যশোরে ৪ জন, কুষ্টিয়ায় ২জন, মাগুরা ও মেহেরপুরে একজন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সবমিলিয়ে এখানে মোট ৬৫ জন রোগী শনাক্ত হলো।
ফলে এ পর্যন্ত যশোরে ২৯ জন, ঝিনাইদহে ১০ জন, নড়াইলে ৯ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৬ জন, মাগুরা ও কুষ্টিয়ায় ৪ জন করে, এবং মেহেরপুরে দুজন রোগী শনাক্ত হলো।