স্টাফ রিপোর্টার: আগামীকাল রোববার থেকে প্রতিটি উপজেলায় অস্ত্র-গুলির নিরাপত্তাপূর্বক হেডকোয়ার্টার এবং ইউএনওদের সঙ্গে আলোচনা করে একজন পিসি, একজন এপিসি ও আটজন আনসারসহ মোট ১০ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে রংপুর, যশোর ও গাইবান্ধাসহ অনেক জেলায় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কার্যালয় ও বাসভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আমাদের রংপুর প্রতিনিধি জানান, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৫৮ উপজেলার ইউএনওদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১০ জন করে আনসার মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে আনসারের পক্ষ থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রংপুর রেঞ্জ পরিচালক একেএম জিয়াউল আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে প্রতিটি জেলা কমান্ড্যান্টকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সকালে রংপুর সদর উপজেলায় ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিভাগের সব উপজেলায় এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। রংপুর জেলা প্রশাসক আসিফ আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যশোরের জেলা কমান্ড্যান্ট ড. লুৎফর রহমান জানান, জেলা কমান্ড্যান্ট অস্ত্র-গুলির নিরাপত্তাপূর্বক যথানিয়মে আনসার অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি সমন্বয় করছেন। যশোর জেলায় ইতোমধ্যে আনসার মোতায়েন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলার সাত উপজেলার ইউএনওর কার্যালয় এবং তাদের বাসভবনে আনসার সদস্য মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গাইবান্ধা জেলা সহকারী কমান্ডার মো. তৌহিদুজ্জামান। উপজেলা কার্যালয় ও ইউএনওদের বাসভবনের নিরাপত্তায় আনসার সদস্য মোতায়েন বিষয়ে তিনি জানান, প্রত্যেক উপজেলার ইউএনওদের নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ জন করে সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনায় ইতোমধ্যে সাত উপজেলায় চারজন করে মোট ২৮ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আপাতত ইউএনও কার্যালয় এবং তাদের বাসভবনে সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।