স্টাফ রিপোর্টার: না, চুয়াডাঙ্গায় নতুন আর একজনও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হননি। নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও প্রায় এক সপ্তাহে একজনও নতুন রোগী শনাক্ত না হওয়ায় স্বাস্থ্য সচেতনমহলে অনেকটা স্বস্তি নেমে এসেছে। তবে দেশে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার আগে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে আজ বুধবার ভারতের উপহার হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা আসার কথা ছিলো তা আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে পৌঁছুবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ২০ জনকে নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৯শ ৪২ জনে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৭শ ২জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৯ হাজার ৩১ জনে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় নতুন রোগী শনাক্ত না হওয়ায় মোট আক্রান্তেরা সংখ্যা ১ হাজার ৬শ ৫৭ জনই রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আরও দুজন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৬শ ১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় মারা গেছেন ৪১ জন। চুয়াডাঙ্গার বাইরে চুয়াডাঙ্গারই আরও ৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা রয়েছে ৪৫ জনে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে পূর্বের ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে একজনেরও কোভিড-১৯ পজেটিভ হয়নি। গতকাল আরও ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে ৩ জন বাড়িতে ৭ জন আইসোলেশনে ছিলেন। নতুন রেফার না হলেও পূর্বে রেফারকৃত দুজন ঢাকায় আইসোলেশনে রয়েছেন। এ হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১২জন।
অপরদিকে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৯৯টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৭টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৫৭টি। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। নতুন যে ২০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ এবং নারী ৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬শ ৮২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অপরদিকে ভারতের উপহার হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ২০ লাখ ডোজ টিকা আজ বুধবার আসার কথা ছিলো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার নয় ওই টিকার চালান আসবে বৃহস্পতিবার। এর আগে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের কাছে দেয়া ভারত সরকারের এক চিঠিতে উপহার হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া কথা বলা হয়েছে। চিঠিতে লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী আগামী ২০ জানুয়ারি ওই টিকা আসার কথা। এছাড়া ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ টিকা আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে আসার কথা রয়েছে। ক্রয় করা ওই টিকার আগেই ভারতের উপহারের টিকা পাওয়ার কথা।