প্রতিপক্ষ মাংস বিক্রেতার ধারালো অস্ত্রাঘাতে স্বামী-স্ত্রী জখম
জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার সুবলপুরে বিয়ে বাড়িতে গোস্ত বিক্রি নিয়ে দুই মাংস বিক্রেতার মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে অপর মাংস বিক্রেতা আব্দুল আওয়াল (৩৬) ও তার স্ত্রী নাসরিন খাতুনকে (২৭) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আব্দুল আওয়ালের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে এ ঘটনা ঘটিয়ে মাংস বিক্রেতা খলিলুর রহমান (৪০) ও তার ছেলে সবুজ (১৭) গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। গতকাল শনিবার সকালে এ হামলা ও জখমের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় দু’জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, সুবলপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ও শহিদুল ইসলামের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো গত পরশু শুক্রবার। এ বিয়ের অনুষ্ঠানে গোস্ত বিক্রি করতে একই গ্রামে বাবর আলী ম-লের ছেলে গরু ব্যাপারী খলিলুর রহমানের সাথে শহিদুল ইসলামের কথা হয়। এদিকে খবর পেয়ে একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ভাগ্নে ইন্তাজুল হকের ছেলে আব্দুল আওয়ালও শহিদুল ইসলামের নিকট যায় কম দামে গোস্ত বিক্রির জন্য। আওয়াল গরু ব্যাপারী খলিলের থেকে কম দামে গোস্ত দিতে চায় এ খবর পেয়ে খলিল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আওয়ালের ওপর। এ ঘটনার একদিন পর ক্ষিপ্ত খলিল তার ছেলে সবুজকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে গতকাল সকালে আওয়ালের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আওয়াল ও তার স্ত্রী নাসরিনকে মারাত্মকভাবে জখম করে। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আওয়াল ও নাসরিন মারাত্মক জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হলে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আওয়ালের অবস্থা কিছুটা গুরুতর। প্রয়োজন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হতে পারে। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত আওয়ালের বড় মামা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে দু’জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ করেছেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযানে মাঠে রয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেছেন, গরু ব্যাপারী খলিলুর রহমান নব্য আওয়ামী লীগের নেতা সেজে গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সে একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলেছে। তার হাত থেকে বয়স্কসহ কেউ রেহাই পাচ্ছে না। নানাভাবে অপদস্ত করে চলেছে খলিল। গ্রামবাসী স্বার্থবাজ আওয়ামী লীগার খলিলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছে।