স্টাফ রিপোর্টার: সর্দি জ্বর শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে সারা দেশে গতকাল আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে নেত্রকোনার মদনে সর্দি জ্বর ও শাসকষ্টে মারা যাওয়া বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক নারীসহ আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের সাইফুল ইসলাম, টিকাটুলির রহিমা বেগম (৬৭), কুমিল্লার চান্দিনার আবদুল মান্নান (৬০), গাজীপুরের আবদুর রশিদ (৬৫), গোপালগঞ্জের সিদ্দিকুর রহমান (৬০), যাত্রাবাড়ীর কাজী রহিম (৩৮), গাজীপুরের নুরুল ইসলাম (৬০), ফতুল্লার আওলাদ (৪৫) এবং জিঞ্জিরার মো. শহিদ (৪৮)। চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাইমুল হক (৩৫) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আবদুর রব বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হন পুলিশ সদস্য। গতকাল দুপুরে তিনি মারা যান। তাছাড়া এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সলিল বিশ্বাস নামে ৭৫ বছর বয়সী আরও এক বৃদ্ধ মারা যান। সলিল বিশ্বাস করোনা পজেটিভ ছিলেন।
নেত্রকোনার মদনে মারা যাওয়া বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন: নেত্রকোনার মদনে মারা যাওয়া ফুলতারা বেগম (৬০) নামের বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। ৯ মে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে এলে ১০ মে মারা যান। এ খবরে উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীরা মৃতের নমুনা সংগ্রহের পর গত ১৪ মে পাওয়া রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তিনি ঢাকার নারায়ণগঞ্জে পোশাক কর্মী মেয়ের বাড়িতে থাকতেন। সেখান থেকে ৯ মে তিনি নিজ বাড়ি গোবিন্দশ্রীতে এলে ১০ মে সকাল ৬টায় মৃত্যু হয়। এছাড়া ৮ মে মোহনগঞ্জেও একজন উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।