বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মারা গেছেন। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি অয়াইন্না ইলাইহিরাজিউন। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সন্ধ্যায় তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, জটিল অবস্থায় আছেন তিনি। অবস্থা খুব একটা ভালো না। দেখা যাক, ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন। উনার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মুক্ত হলেও এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ শারীরিক জটিলতা বাড়তে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তার।
গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি হন ৭১ বছর বয়সী মাহবুবে আলম। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাহবুবে আলমের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটলে আইসিইউতে নেয়া হয়। ওই সময় আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মাহবুবে আলমের সর্বশেষ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছিল। মাহবুবে আলম ২০০৯ সালে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে নিয়োগ পান। তারপর মৃত্যু অবধি ওই পদে ছিলেন। পদাধিকার বলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন মাহবুবে আলম। এছাড়া সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম, ত্রয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনী মামলা পরিচালনাও করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মামলায়ও যুক্ত ছিলেন মাহবুবে আলম। আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তিনি এক মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং এক মেয়াদে সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। মাহবুবে আলমের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামে।