বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এবার চুয়াডাঙ্গা জেলার একজন মেয়েসহ ৪ জন সরাসরি মেধার ভিত্তিতে ভর্ভির যোগ্যতা অর্জন করেছে। অপেক্ষমাণ তালিকার সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে আরও একজন শিক্ষার্থী। এ হিসেবে এবার ৬ জন শিক্ষার্থী বুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রকৌশলী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী সকলকে অভিনন্দন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুয়েটে ৬ জনের ভর্তি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির ইতিহাসে অতীতের সব দস্তাবেজ অতিক্রম করেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও একজন ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করেছে। এই সক্ষমতাকে যেমন শিক্ষানুরাগীদের অনেকেই ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন, তেমনই নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এবার ১৬ জনের বুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের ছবি সামনে নিয়ে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির বাস্তবমুখি পদক্ষেপ প্রয়োজন। এতোগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটিও কি নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের মতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করার উদ্যোগ নিতে পারে না? ওরা পারলে আমরা পারবো না কেন? এ প্রশ্ন অবশ্যই সঙ্গত। মনে রাখা দরকার, নীলফামারীর ওই কলেজ থেকে এর আগে একসাথে ৩৯ জন বুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করার ইতিহাসও রয়েছে। শুধু বুয়েটে ভর্তি নয়, এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে এ কলেজের ৩৯ জন শিক্ষার্থী। এতোজনের মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি এক সাথে একই কলেজ থেকে ১৬ জনের বুয়েটে ভর্তির কৃতিত্ব অর্জন অবশ্যই কাকতালিয়ো নয়। ওই কলেজে পঠন-পাঠন অনুকরণীয়। চুয়াডাঙ্গার কোনো সরকারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কি ওই কলেজ থেকে শিক্ষা নেবে? অপ্রতুলতাসহ অসংখ্য অজুহাত সামনে মেলে ধরে দ্বায় এড়ানো সহজ। তাতে কল্যাণের বদলে অকল্যাণই আসন গাড়ে। দরকার বিশেষ উদ্যোগ।
চুয়াডাঙ্গা থেকে এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারীর সংখ্যা একেবারে কম নয়। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় জেলাভিত্তিক কিছুটা হলেও কোটার সুযোগ আছে। বুয়েটে নেই। তারপরও পূর্বের তুলনায় এবার কিছুটা হলেও ভর্তিযুদ্ধে এগিয়েছে। এতে আশাবাদী হলেও দেশব্যাপী প্রতিযোগিতার মাফকাঠির দিকে তাকালে দীর্ঘশ্বাস বাড়ে। বিশেষ উদ্যোগ দূর করুক দীর্ঘশ্বাস, বয়ে আনুক মেধা বিকাশের উৎকর্ষ পরিবেশ।