পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক নয়। কারণ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে বড় উদ্বেগ ছিলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে। সেটা কেটেছে। বিশেষ ব্যবস্থায় মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলও ভালো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়া নিয়ে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া নিয়ে দুুশ্চিন্তায় পড়েছে প্রায় ১৭ লাখ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে দুশ্চিন্তাটা অনেক বেশি। কবে নাগাদ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। প্রতিবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই কলেজে ভর্তি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। কলেজগুলো শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য তৎপরতা চালায়। শিক্ষার্থীরাও পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এবার পরিস্থিতিগত কারণে ভর্তিবিষয়ক কোনো আয়োজন নেই। আন্ত শিক্ষা বোর্ড ৬ জুন ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করেছিলো কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী সিদ্ধান্ত নেয় সে অপেক্ষায় আছে তারা। দেশের সব কলেজেই এখন একাদশ শ্রেণিতে জিপিএর ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তি করা হয়। ব্যতিক্রম শুধু রাজধানীর চার্চ পরিচালিত চার প্রতিষ্ঠান (মিশনারি কলেজ) নটর ডেম কলেজ, হলিক্রস কলেজ, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এসব কলেজে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করা হতো। এবার তারাও জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। তারা অনুমোদন পেয়েছে গত মঙ্গলবার। অন্য কলেজে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়ায় করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মান্য করা সম্ভব হবে না আশঙ্কা করে তা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বোর্ডগুলো। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে। ১৫ জুনের পর সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে ভর্তি শুরুর সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারের পরিস্থিতি আসলেই অন্য রকম। এ রকম পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিবিলম্ব ঘটানো যাবে না। কলেজগুলোতে আসন সংকট নেই; বরং প্রচুর আসন খালি থাকবে। এবার বড় সমস্যা স্বাস্থ্য নিরাপত্তা। সেটি যত দ্রুত সম্ভব দূর করা উচিত। এবার অনলাইন ক্লাসে জোর দেয়ার বিষয়ও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভর্তি-প্রেফারেন্সে বদল ঘটানোর প্রয়োজন রয়েছে।