জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পরিচয় দিয়ে চাকুরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিল রাশেদুজ্জামান ওরফে শান্ত। সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের জুনিয়র ফিল্ড অফিসার এবং স্বপ্রচারিত এরিয়া অফিসার পদে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তি কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে শান্ত। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আলমডাঙ্গা উপজেলার কাবিলনগর গ্রামের জলিল বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল লতিফ। পরে মামলার সূত্র ধরে অভিযানে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুক্তিপাড়ায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে তার ৪ তলা বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে ঘরের ডয়ারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ ১৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা। পরে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তার সহযোগী কাঠ মিস্ত্রি বিল্লাল হোসেনকে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার কাবিলনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুর সবুরকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরে জুনিয়র ফিল্ড অফিসার পদে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় শান্ত। গ্রেফতারের পর তাদের বিরুদ্ধে আরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রাথমিক তথ্যে বলা যেতে পারে, সরকারি চাকরি দেয়ার নামে রাশেদুজ্জামান শান্ত প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। শান্ত আগে বিজিবি’র বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতো। আজ বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে তোলা হবে।
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে,,এইবার ঠেলাটা বোঝ।
তবে যেসব মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে তারা কি তাদের কষ্টের টাকা ফেরত পাবে না