স্টাফ রিপোর্টার:
চুয়াডাঙ্গা শহরের যানজট নিরসনে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবধরণের পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ ও চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। গতকাল রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এই ঘোষণা দেন।
সভায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মহা. শামশুজ্জোহা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান, প্রথম আলোর সাংবাদিক শাহ আলম সনি, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দীন মুক্তাসহ কমিটির সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান গত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করলে উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে যা অনুমোদন লাভ করে। এসময় জেলার আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি নিয়ে বেশিরভাগ বক্তা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে, দিনের বেলা শহরের বুকে বালুসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাকের অবাধ চলাচল, প্রধান সড়ক জুড়ে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা এবং যেখানে সেখানে পণ্যখালাসে জনদুর্ভোগে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
জেলা আ.লীগের প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে প্রধান সড়ক জুড়ে বালু এবং বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে অন্যান্য যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল ব্যহত হয় এবং প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশিদ অভিযোগ করেন, মাসের পর মাস ধরে সড়কে অচল ট্রাক পড়ে থেকে ভেতরে আগাছা জন্মে গেলেও তা সরানোর উদ্যোগ নেই। চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের পরিচালক নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘যতদিন ট্রাক টার্মিনাল না হয়, ততদিন ট্রাকগুলো শহরের বাইরে অথবা মালিকদের নিজস্ব গ্যারেজে রাখা হোক।’
আন্তঃজেলা ট্রাক ও চালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘টার্মিনাল না থাকায় বাধ্য হয়েই সড়কের ধারে ট্রাক পার্কিং করে রাখা হয়। টার্মিনালের জন্য নির্ধারিত স্থানে পৌর কর্তৃপক্ষ সীমানা পাঁচিল দিলে মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে তা উন্নয়ন করা হবে। এজন্য মেয়রকে আন্তরিক হতে হবে। পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক বলেন, ‘ট্রাক টার্মিনাল বাস্তবায়নে ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা এই মুহুর্তে পৌরসভার নেই।’
সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মহা. শামশুজ্জোহা বলেন, রেলবাজার সড়কের মাঝে দুটি গাছ অবিলম্বে কাটা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সভায় বক্তারা আরও বলেন, পৌর এলাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে টিসিবির উপকারভোগীদের যে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আসছে। তালিকা নিয়ে অনিয়ম হলে আইনশৃক্সখলার অবনতি হতে পারে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে।
ইউএম/ডেস্ক/০৫২৮