মাথাভাঙ্গা খনন কুমারীতে পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপনসহ সড়ক উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির গুরুত্বারোপ
স্টাফ রিপোর্টার: মাথাভাঙ্গা নদী খনন, আলমডাঙ্গার কুমারীতে পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপনসহ চুয়াডাঙ্গার সড়ক উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির গুরুত্বারোপ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার তিনি জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবসহ এ আহ্বান জানান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় সংসদে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদ এবং জাতীয় ৪ নেতার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা একসময় সন্ত্রাস কবলিত ছিলো। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাস্তবমুখী পদক্ষেপে বাঘাবাঘা সন্ত্রাসীরা আত্মসমর্পণ করে। চুয়াডাঙ্গা এখন সন্ত্রাস মুক্ত। শান্তির জনপদ। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রমে এটা যেমন সম্ভব হয়েছে, তেমনই দেশের উন্নয়ন বিশ্ব দরবারে রোলমডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এরপরও যে অপশক্তি এক সময় দেশই চায়নি, তারা এখন উন্নয়ন দেখতে না পেয়ে আপত্তিকর অভিযোগ উত্থাপন করে।
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের প্রশংসা করে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, চুয়াডাঙ্গার কৃষকেরা এখন ১৪ মাসে ৪টি ফসল ফলিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। রাস্তাঘাটের উন্নতি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার কারণে সন্ত্রাস গড়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে না। মানুষ এখন রাতে নির্বিঘেœ দোকানের মাচায় বসে খোশগল্প করে। শান্তিতে ঘুমোতে পারে। চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মাথাভাঙ্গা নদী। এ নদীতে এক সময় স্টিমার চলতো। কোলকাতা বন্দরে মালামাল আদান প্রদান করা হতো। সেই নদী এখন মানুষ পায়ে হেটে পার হয়। এলাকার কৃষিখাতের উন্নতি অব্যাহত রাখতে মাথাভাঙ্গা নদী খনন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। চুয়াডাঙ্গার প্রায় সকল রাস্তাই পাকা। বাকি রাস্তাগুলো পাকা করতে এবং সংস্কার করতে বরাদ্দকৃত অর্থও বাড়ানো প্রয়োজন। আলমডাঙ্গার কুমারীতে ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ও কিছু অবকাঠামোও রয়েছে। ফলে এই স্থানে পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপন করা দরকার। কলেজ স্থাপন করলে এলাকার ছেলে-মেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত তথা দক্ষ হয়ে গৃহপালিত পশু পালনে অবদান রাখতে পারবে। তাতে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে।