মেহেরপুর অফিস : মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে গতকাল শুক্রবার আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনেরই বয়স ষাট বছরের উপরে। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এদিকে আজ আরও ১৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার মুজিবনগরের আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- গাংনী উপজেলার হিজলবাড়ীয়া গ্রামের বিছার উদ্দীন (৬৫) ও মেহেরপুর শহরের তাহের ক্লিনিক পাড়ার ছাইমান হোসেন (৬১)।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, বিছার উদ্দীন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। ছাইমান হোসেনের করোনা সন্দেহে এন্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভ। তবে পিসিআর ল্যাব পরীক্ষার পরেই নিশ্চিত হবে তিনি পজিটিভ না নেগেটিভ। এদিকে গতকাল শুকবার আরও ১৪ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছে। পিসিআর ল্যাবে ৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ১৪ জন পজিটিভ বলে সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে। সিভিল সার্জন ডা: নাসির উদ্দীন দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পিসিআর ল্যাবে পাঠানো নমুনার মধ্যে ৭০টি ফলাফল এসেছে। ১৪টি পজিটিভ কেসের মধ্যে সদর ২, গাংনী ৭ ও মুজিবনগরে ৫টি। এ নিয়ে জেলায় মোট পজিটিভ কেসের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৪৮। এর মধ্যে সদর ৭০, গাংনী ১০৬ ও মুজিবনগরে ৭২টি। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩২।
এদিকে সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে দোকানে বসে খাবার খাওয়ানো দায়ে মেহেরপুর শহরের বড় বাজার এলাকায় জোসনা ব্রেকারী মালিকের নিকট থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জোসনা ব্রেকারী মালিকের নিকট থেকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সন্ধ্যা ছটা থেকে পরদিন সকাল দশটা পর্যন্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সরকারের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি খাবারের দোকান খোলা রাখা নির্দেশনা থাকলেও সেখানে বসে কেউ খেতে পারবেন না। এমনটি বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। কিন্তু জোসনা বেকারিতে একসঙ্গে অনেকে বসে খাবার খাচ্ছিলেন, এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমান সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন,।
এবং সরকারি নিয়ম ভাঙ্গায় চার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এর আগে রাতে সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাসুদুল আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নির্ধারিত সময়ের পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে ৮ জনের কাছ থেকে প্রায় নয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।