দাফন সম্পন্ন : অভিযুক্ত জাহিদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গায় খুন হওয়া ২য় শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার ময়নাতদন্ত শেষে কানাইডাঙ্গা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করা হয়েছে। জাহিদকে প্রধান আসামি করে মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে রোববার মামলাটি করেন নিহত শিশু ইয়ামিনের মা রিনা খাতুন। এদিকে ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে মূল অভিযুক্ত জাহিদ হাসান। বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে তার মা-বাবাও। তবে প্রধান আসামি জাহিদসহ মামলার সকল আসামিকে ধরতে পুলিশের ব্যাপক অভিযান চলছে। শিগগিরই জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার দুপুরে শিশু ইয়ামিনের মরদেহ নেয়া হয় নানাবাড়ি কানাইডাঙ্গা গ্রামে। এরপর কানাইডাঙ্গা ঈদগাহ মাঠে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বেদনাবিধূর পরিবেশে গ্রামের কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।
এদিকে, সামান্য ১০ টাকা খরচ করায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিনের গলা কেটে খুনের একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও আইনের আওতায় নেয়া সম্ভব হয়নি অভিযুক্ত কিশোর জাহিদ হাসানকে। গত শনিবার হত্যাকা-ের পর থেকেই লাপাত্তা সে। বাড়িঘর ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন তার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামানসহ পরিবারের লোকজন।
ছেলে হত্যার ঘটনায় গতকাল রোববার দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন রিনা খাতুন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল বলেন, প্রধান আসামি জাহিদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্ত ও আসামিদের গ্রেফতারের স্বার্থে অন্যদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই মূল আসামিসহ হত্যাকা-ে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করা হবে।
উল্লে¬খ্য, গত শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে বন্ধুদের সাথে খেলছিলো শিশু ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন। এ সময় জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ হাসান ৩০ টাকা দিয়ে ইয়ামিনকে মুড়ি কিনতে পাঠায়। ২০ টাকার মুড়ি নিয়ে অবশিষ্ট ১০ টাকা খরচ করে ফেলে ইয়ামিন। এরপর মুড়ি নিয়ে ইয়ামিনের কাছে বাকি ১০ টাকা চায় জাহিদ। টাকা দিতে না পারায় ইয়ামিনকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে সে। ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন। বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায় ইমন। বাকি শিশুরা ভয়ে চলে যায়। এই সুযোগে ইয়ামিনকে গলা কেটে খুন করে আমবাগানে ফেলে পালিয়ে যায় জাহিদ।