স্টাফরিপোর্টার: নোভেল করোনা বা কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় সাধারণ ছুটির থাকার পর খুলছে অফিস-আদালত। চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ৩০ মে শেষ হচ্ছে। ৩১ মে থেকে সীমিতভাবে খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। একই সঙ্গে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ ও ট্রেন) চালু হবে ওইদিন থেকে। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ্র্দএসব নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বুধবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নতুন করে ছুটি না বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধা্ন্তের কথা জানান। এর মধ্য দিয়ে দেশে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির মেয়াদ আপাতত শেষ হলো। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব তৌহিদ ইলাহী স্বাক্ষরিত আজকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধ এবং পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার আগামী ৩০ মের পর থেকে শর্তসাপেক্ষে দেশের সার্বিক কার্যাবলি এবং জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ-সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে চলবে। বয়স্ক, অসুস্থ ও সন্তান সম্ভবাদের এ সময় অফিসে আসা বন্ধ থাকবে। চলাচলে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। তবে অনলাইন কোর্স বা ডিস্টেন্স লার্নিং অব্যাহত থাকবে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা পূর্ণভাবে চালু করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান, রেল চলাচল করতে পারবে। অর্ধেক টিকিট বিক্রি করে ট্রেন চলাচল চালু করা হবে। বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচলের বিষয় বিবেচনা করবে। তবে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃপক্ষ জারিকৃত নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞাকালে সব প্রকার সভা-সমাবেশ, গণ জমায়েত ও অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ থাকবে। এই সময়ে মানতে হবে ১৩ দফা স্বাস্থ্যবিধি।
প্রসঙ্গত, ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর ১০ দিন পর করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় দেশে। মঙ্গলবার পর্য ন্ত দেশে ৫৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।