রহমানকে, যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। করোনা মহামারীর কারণে জাতীয় কুচকাওয়াজসহ সরকারি বড় সব কর্মসূচি না থাকলেও মহান বিজয়ে বাঙালির বিজয়োৎসবের এতোটুকু কমতি ছিলো না। সীমিত পরিসরের কর্মসূচি থাকলেও বিজয়ের আনন্দ আর নতুন প্রজন্মের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ছিলো চোখে পড়ার মতো। সর্বত্রই বাঙালির মনে ছিলো এক অন্যরকম বিজয়ের আনন্দ। বাংলাদেশে এদিন সব ফুল ফুটেছিলো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধায়। প্রতিবারের মতো তীব্র জনস্রোত না নামলেও লাল-সবুজের বিজয় নিশান আর ফুল হাতে মানুষের ঢল ছিলো সর্বত্র। তবে একাত্তরের পরাজিত শক্তির যে অনুসারীরা আজও বাংলাদেশে উগ্রবাদের বিষ ছড়াচ্ছে, জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছে- তাদের শেকড় বাংলাদেশের মাটি থেকে উপড়ে ফেলার প্রত্যয় এসেছে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকীতে। গতকাল বুধবার মহান বিজয় দিবসে সর্বত্রই ছিলো কৃতজ্ঞ বাঙালির মুখে বিজয়ের গান আর যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার ও মৌলবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা সমাজের নানা স্তরের প্রতিনিধিদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে নব্য রাজাকার ও তাদের দোসারদের সর্বত্র ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের সেই শপথের সুর। তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে- একাত্তরের সেই ঘাতক-দালাল আর তাদের আজকের দোসর নব্য রাজাকারদের নির্মূল করা না গেলে ভবিষ্যতেও তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের জন্য হুমকি তৈরি করবে। এক নতুন রূপে ও চেতনায় এবার বিজয় দিবস উদ্যাপন করলো দেশবাসী।
এ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে সেজেছে অন্যন্য সাজে। পুষ্পমাল্য অর্পণ, শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা আয়োজনে উদযাপন করেছে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস। বিনম্র শ্রদ্ধায় কৃতজ্ঞ জাতি ত্রিশ লাখ শহীদকে আরও একবার জানিয়ে দিলো, তোমাদের স্মৃতি বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠা থেকে কখনো মুছে যাবে না। সূর্যোদ্বয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দিবস উপলক্ষে সব সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় করা হয় আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও রঙ-বেরঙের পতাকায় সাজানো হয়। জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মের উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোয় উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় সকাল সাড়ে ৬টায় স্থানীয় শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ বিভিন্ন সরকারি দফতর, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, জেলা পুলিশের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আবেদীন খোকনের নেতৃত্বে, যুবলীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দার। এছাড়া শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জাতীয় শ্রমিকলীগ, জেলা কৃষকলীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েসন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা, জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, শ্রমিক লীগের পতাকা উত্তোলন করেন শ্রমিক লীগ সভাপতি আফজালুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-ল, মহিলা আওয়ামী লীগের পতাকা উত্তোলন করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নাহার কাকুলী ও আফরোজা খাতুন, যুবলীগের পতাকা উত্তোলন করেন রেজাউল হক, ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলন করেন সহসভাপতি সাহাবুল হক, ছাত্রলীগ নেতা ওয়ালিউল ইসলাম পাভেল ও আলিফ নূর। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরশাদ উদ্দিন চন্দন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. বেলাল হোসেন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহাজাদী মিলি, কৃষক লীগের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাব্বী, দয়াল প্রমুখ। পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরে বের করা হয় বিজয় মিছিল। বিজয় মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভার্যচুয়ালি (অনলাইনে) ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। একই স্থানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা পরিদের চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদীন খোকন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজন্ব) মো. জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। একই সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহামারী করোনার কারণে ফুল ও উপহার সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।
বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস ও মুজিবশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে মহিলাদের আলোচনাসভা ও প্রীতি হ্যান্ডবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ৯-৩ গোলে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলা শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক পতœী সৈয়দা তাহমিনা নজরুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার পতœী শারমিন মুস্তারী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার, সুরাইয়া খাতুন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেফালী খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সেলিনা খাতুন।
বিকেল সাড়ে ৩টায় মহান বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় মুখোমুখি হয় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা একাদশ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন একাদশ। জেলা প্রশাসন একাদশের দলনায়ক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। পৌরসভা একাদশের অধিনায়ক ছিলেন সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম। খেলাটি ২-২ গোলে ড্র-হয়। খেলা শেষে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে খেলায় অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য শুভেচ্ছা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেই সাথে ভার্চুয়ালি শিক্ষার্থীদের নিয়ে হামদ-নাত, কেরাত, দেশাত্ববোধক গান, আবৃত্তি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অভিভাবক ও শিক্ষকম-লীদের নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের নিয়ে আলোচনা ও তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া-মোনাজাত করা হয়। আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জিত করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্যালে পূষ্পমাল্য অর্পণ শেষে জাতীর উদ্দেশ্যে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলামকে জেলা পরিষদ কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ইসরাইল হোসেন, শহিদুল ইসলাম সাহান, জহুরুল ইসলাম, তানিয়া বেগম, বিদায়ী অতিথি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান। পরে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ সদস্য হাফিজুর রহমান হাপু, আজাদ আলী, আবু বকর সিদ্দিক আরিফ, সাজিদুর ইসলাম লাবলু, শরিফ হোসেন দুদু, আলমগীর আজম খোকা, অ্যাড. তসলিম উদ্দিন ফিরোজ, জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা পিরু মিয়া, শেখ শাহী, মাসুদুর রহমান মাসুম, বিপ্লব, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, আলী ইমরান শুভ, রামিম হাসান সৈকত, সামিউল শেখ সুইট, তানভীর রেজা টুটুল, দিপু, লোকমান, জাকির, হিরা, আলিম, কবির, সজল, আশিক, নোমান, বাচ্চু প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে কেদারগঞ্জস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ জেলা শাখার সভাপতি তানবিন আহমেদ সোহাগ প্রমুখ।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা বঙ্গবন্ধু ছাত্রপরিষদের উদ্যোগে র্যালি ও শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ছাত্রপরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান হিমেল মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক ওয়াসি হাসান রাজিব, সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ফিরোজ, দফতর সম্পাদক আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিল হাসান বারেক প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে সকল বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তৌফিক এলাহী, সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ রানা, সদস্য সচিব মাজেদুল আলম মেহেদী, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনিস, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মাহবুব, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবাল ও সদস্য সচিব সাইমুম আরাফাত, জেলা ছাত্রদল নেতা সাইমুজ্জামান মিশা ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রানা হামিদ প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আয়োজনে বিশাল বিজয় র্যালি অনুষ্ঠান হয়েছে। বিকাল ৩টায় শহীদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে এই বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ হাসান চত্বরে এসে মিলিত হয়ে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান সজিব, সেক্রেটারি তুষার ইমরান সরকার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা মুহিব্বুল ইসলাম, ইশা ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি জামাল উদ্দীন। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা জহুরুল।
বাংলাদেশ জাসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে ১৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৮টায় চুয়াডাঙ্গা হাসান চত্বরে শহীদ বেদীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শুদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও শহীদদের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আসাফো চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির আহবায়ক হিরণ উর রশিদ শান্ত, কমিটির সদস্য সচিব মোহা. শাহীন উল কাদির প্রমুখ।
নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান নান্নু, প্রধান শিক্ষক মাহাবুবা খাতুন প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ আবু রাশেদ। মো. খসরুজ্জামানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন হেলেনা নাসরীন, হাসিবুল ইসলাম, সিহাব রানা প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মো. কামরুজ্জামান।
চুয়াডাঙ্গা সেভ দ্য পিপল সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজয় র্যালি ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন ডা. শামসুর রহমান, আরিফ আহমেদ, সাকিবুর রহমান, শেখ আরিফুজ্জামান, ডা. পলাশ মালী, ডা. হাফিজুর রহমান, ইকবাল হোসেন, আলমগীর কবির, ফেরদৌসী খাতুন, শারমিন আক্তার, মিজানুর রহমান মালিক প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাউল কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন ফকির, সাধারণ সম্পাদক মুসলিম উদ্দীন জুড়োন শাহ, অহিদ আল শাহ, নওয়াব আলী শাহ, গণি শাহ, আব্দুল শাহ, সাত্তর শাহ, মনির শাহ, বাপ্পি, মান্নান, সজ্জিত, রশিদ, ইছা, রহিম, জাইতন, নাসিমা, সেলিনা, আতাহার প্রমুখ।
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জামিয়া কারিমিয়া ডিঙ্গেদহ কওমি মাদরাসার উদ্যোগে মহান বিজয় উপলক্ষে র্যালি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সকাল ৯টায় মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের একটি র্যালি ডিঙ্গেদহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মাদরাসায় এসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ও উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখা, সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ, ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও এডাব চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির উদ্যোগে র্যালী শেষে চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ বেদীতে পুষ্প মাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (পাস) নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেন, প্রত্যাশার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন, গ্রামীণ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান লিপু, কম্প্যাক্ট’র নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম, আলাপের নির্বাহী পরিচালক রিন্টু।
বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেগমপুর ও মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটির মধ্যে ছিলো আলোচনাসভা, দোয়া ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইফুল আজম মিন্টু, প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, মীর মফিজ উদ্দিন, সদস্য মিল্টন বিশ্বাস, আওয়াল হোসেন, আলী কদর মেম্বর, বেগমপুরে শরিয়তের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন শরিয়ত কাজি, মোখলেছুর রহমান বকুল, আব্দুল খালেক ব্যাপারী, আজান মিয়া, আব্বাচ আলী, মিলন, হাসিবুল, মনির হোসেন, কিনা, আব্দুল আজিজ প্রধান। মাখালডাঙ্গায় উপস্থিত ছিলেন আ.লীগ নেতা আরশাদ আহম্মেদ চন্দন, ইউনিয়ন সভাপতি শ্রী বিশ্বজিত সাহা, রানা, কুদ্দুস, বাদল, হোছেন, শলক, হাফিজ সরকার প্রমুখ।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জে তেতুল শেখ কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাজি আব্দুল্লা শেখ। উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাজি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আলি আহম্মদ হাসানুজ্জামান মানিক, সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই গোলাম সারোয়ার, পরিচালনা কমিটির সদস্য মশিউর রহমান, জালাল উদ্দিন মহর, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রমিজ রায়হান। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ। বদরগঞ্জ আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজি আব্দুল মোতালেব। উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক আলা উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাইফুল ইসলাম। মহাম্মদজমা ডিএএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজি মজিবর রহমান। এছাড়া কুতুবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের উদ্যোগে র্যালি বের করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাজি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আলি আহম্মদ হাসানুজ্জামান মানিক প্রমুখ।
গড়াইটুপি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সম্মাননা সূচক খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেগম ইসরাত জাহান। আরও বক্তব্যে রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল কাশেম, নুরুল ইসলাম, আব্দুল খালেক প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় শহীদ মাজারে ও বধ্যভূমির বেদীতে পুষ্পস্তবকার্পণ ও সুরা ফাতেহা পাঠ করে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ প্রশাসন, আলমডাঙ্গা পৌরসভা, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন, বিএনপি ও তার অংগ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের পক্ষ থেকে শহীদ মাজার ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া করা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের আয়োজনে সকাল সাড়ে ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। সে সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী ও থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর। পরে উপজেলা হলরুমে ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবীর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় অ্যাড সালমুন আহমেদ ডন ও কাজী মারজাহান নীতু, বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতিক সুবেদার সাইদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. শাহাবুদ্দীন সাবু, অগ্নিসেনা খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা মইন উদ্দীন, সাবেক কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ জকু, উপজেলা ভেটেনারি সার্জন ডা. আব্দুল্লাহিল কাফি, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা, প.প কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মাসুদুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, সমাজ সেবা অফিসার আফাজ উদ্দীন, প্রকল্প বাস্তবায়সন কর্মকর্তা এনামুল হক, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক প্রমুখ।
অপরদিকে, আলমডাঙ্গা পৌরসভা পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল সাড়ে ৬টায় শহরের রাস্তায় জাতীয় ও পৌরসভার পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সাড়ে ৭টায় মেয়র হাসান কাদির গনু পৌর কার্যালয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সাড়ে ৮টায় মেয়র হাসান কাদির গনুর নেতৃত্বে শহীদ মাজার ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে যোগদান করেন। বাদ যোহর প্রতিটি মসজিদ ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা।
অনুরূপভাবে, আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সকালে জাতীয় সংগীতের তালে তালে মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন যৌথভাবে আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী। সে সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক সুবেদার সাইদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দার, নূর মোহাম্মদ জকু, অগ্নিসেনা মঈনুদ্দীন আহমেদ প্রমুখ। এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ মাজার ও বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠনের পক্ষ থেকেও পূথক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু মুসা, সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুণ, সহসভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ী আলহাজ লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, ক্রীড়া সম্পাদক বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মহিদ, প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান রিপন প্রমুখ। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এদিকে, যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি পৃথক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে। সকাল সাড়ে ৮টায় দলীয় অফিসে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শহীদ মাজার ও বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করেন। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন সোনাহার, যুগ্মআহ্বায়ক তাফসির আহমেদ লাল মল্লিক, রাজু আহমেদ, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আশাদুল হক ডিটু, যুগ্মআহ্বায়ক কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম, মামুন-অর রশিদ হাসানসহ সকল নেতৃবৃন্দ।
ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও দিনটি নানা কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয়। পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি নয়ন সরকার, যুগ্মসম্পাদক হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন ও সেক্রেটারি জেনারেল কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
আলমডাঙ্গায় বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ১০টায় র্যালিসহ শহীদ মাজারে উপস্থিত হয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসস্থ চাতালে ফিরে আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ, জেলা যুবদলের যুগ্মসম্পাদক ও চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম বিপ্লব, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা জাসাস’র সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্মসম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বার, যুগ্মআহবায়ক কামরুজ্জামান বকুল, গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, মিজানুর রহমান, সাবেক কমিশনার নাসির উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু প্রমুখ।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস। প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামসেদুর রহমান জোয়ার্দ্দার। উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির আহমেদ, নজরুল ইসলাম, মতিউল হক, আবু তালেব, জিনারুল ইসলাম, আলী হোসেন, আনছার আলী, আব্দুর রহমান, রবিউল ইসলাম, হবিবর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন, ডা. রবিউল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, একদিল শাহ্, সামসুল হুদা প্রমুখ। এছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও বিজয় র্যালি বের করা হয়।
অপরদিকে, আলমডাঙ্গার জেহালায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পতাকা উত্তোলন ও বিজয় র্যালি বের করা হয়। এদিকে ইউনিয়ন যুবলীগ পতাকা উত্তোলন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। বিকেলে একটি বিজয় র্যালি বের করা হয়। পরে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মশিউর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সোনাহার ম-ল, সদস্য সালাউদ্দিন ম-ল, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
আসমানখালী/হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার গাংনী ইউনিয়ন আ.লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের আবু, জেলা পরিষদের সদস্য রকিবুল হাসান, বড়গাংনী বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ওসি তুহিনুজ্জামান, এসআই আব্দুর রহিম, মজিবর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান টোকন, সম্পাদক আকতার হোসেন, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান প্রমুখ।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সাংস্কৃতিক সংগঠন অনির্বাণ থিয়েটার, ফ্রিল্যান্স সেন্টারসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, কমরেড অ্যাড. শহিদুল ইসলাম, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহব্বুর রহমান, সৈয়দ মজনুর রহমান, হাজি এরশাদ আলী মাস্টার, জয়নাল আবদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, আ.লীগ নেতা গোলাম ফারুক আরিফ, বিল্লাল হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, দর্শনা পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোতা প্রমুখ।
এ দিকে কেরুজ ক্লাব মাঠে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও মুক্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে, তৈয়ব আলী, সবুজ, মোস্তাফিজ, মাসুদ ও প্রিন্স। বিভিন্ন আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাঈদ, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) রাব্বিক হাসান, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ শাহাব উদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) ফিদাহ হাসান বাদশা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) গিয়াস উদ্দিন, কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহসম্পাদক খবির উদ্দিন, সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, সভাপতি প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ প্রমুখ।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগ, দামুড়হুদা মডেল থানা, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষকলীগ, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের পদদেশে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আছির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেন, উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা জামাল শুভ, উপজেলা কৃষি অফিসার মো মনিরুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, উপজেলা প্রার্থমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইসহাক, আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান ববি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ আলি, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত আয়ুব আলি, দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল খালেক, পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লা আল মামুন, জেলা পরিষদ সদস্য শফিউল কবির ইউসুফ, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবী, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলি, উপজেলা তথ্য আপা ওজিফা রহমান, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিল্টন, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, কুড়–লগাছি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ মো এনামুল করিম ইনু, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মনির প্রমুখ।
ভ্রাম্যমাণ/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ইউনিয়ন আ.লীগসহ অঙ্গ সংগঠন যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে বিজয় র্যালি বের করা হয়। বিকেলে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন শফিক উর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদের বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক আহমেদ আলী, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক এমএ জলিল, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল বিশ্বাস মিঠু, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম এপি, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ কচি, সহ-সভাপতি খুরশিদ আলম নান্নু, যুগ্মসম্পাদক রতন বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি-বাড়ি উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, ইউএনও এসএম মুনিম লিংকন ও থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিয়া, আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান, হাসাদহ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। বেলা ১১টায় ভিডিও কনফারেস্টের মাধ্যমে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় মাধবখালী সীমান্তের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে পুষ্পস্তাবক অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি মোশাররফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাবা হোসেন খান, বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল বাসার শিপলু, পৌর যুবলীগের সভাপতি এসএ শরিফুল ইসলাম প্রমূখ।
বাংলাদেশ জাসদ জীবননগর শাখার উদ্যোগে সকালে মাধবখালী সীমান্তে মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। বাংলাদেশ জাসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জীবননগর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম ডিটু, কেডিকে ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মন্টু মিয়া ও উপজেলা জাসদ নেতা হারুন অর রশিদ প্রমুখ। জীবননগর ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ আলী আখতারের সভাপতিত্বে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মো. মুছার সভাপতিত্বে, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক যাদব কুমার প্রামাণিকের সভাপতিত্বে, শাপলাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে, অধ্যক্ষ মাও, আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ মাও. মো. আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে হাসাদাহ মডেল কামিল মাদরাসায় বিজয় দিবসের পতাকা উত্তোলন, আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
হাসাদাহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হাসাদাহ ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে কাঙালি ভোজ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম ঈশা। হাসাদাহ ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি জুম্মাত আলী ম-লের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সহসভাপতি মিন্টু আলী ম-ল, হাসাদাহ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস শুকুর ম-ল, ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম, যুবলীগের নেতা আলী, মেহেদী হাসান রনি, লিমন হুসাইন, হাসাদাহ ইউনিয়নে সহযাত্রীর ফাউন্ডেশনের সভাপতি সোহাগ আলী ম-ল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রমুখ। অপর দিকে হাসাদাহ কাঠ ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে সন্ধ্যার দিকে কাঙালিভোজের আয়োজন করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বিশ^াস।
আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আন্দুলবাড়িয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু, মোল্লা আলতাব হোসেন ফেলা, ৯নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, খান তারিক মাহমুদ প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শেখ মহিদুল ইসলাম। উপস্থপনা করেন শেখ আতিয়ার রহমান। আন্দুলবাড়িয়া সাহিত্য পরিষদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নারায়ণ ভৌমিক। প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার। উপস্থিত ছিলেন শেখ আসাউল ইসলাম গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুন নাহার শোভা প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন সমাজকর্মী মোল্লা মোতাহারুল ইসলাম চঞ্চল। উপস্থাপনা করেন জাহিদুল ইসলাম মামুন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয় নিশান বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এছাড়াও আন্দুলবাড়িয়া ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মির্জা হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে র্যালি, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে গতকাল বুধবার প্রত্যুষে সাকিট হাউজ চত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি জেলা পুলিশের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সেখানে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। পরে সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান। এরপর চৌকস পুলিশের একটি দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি তার সাথে ছিলেন। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বর্ণাঢ্য র্যালি, পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। সকালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে র্যালি বের করা হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবনের সামনে থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেকের নেতৃত্বে র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পমালা অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য শামীম আরা হীরা, বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজামান, কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী সামিউন বাসির পলি প্রমুখ।
মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে র্যালি বের করা হয়। মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রেজা, ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন প্রমুখ।
মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেহেরপুর পৌরসভার উদ্যোগে র্যালি বের করা হয়। মেহেরপুর পৌরসভার সামনে থেকে মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের নেতৃত্বে র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পমালা অর্পণ করেন। উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সদস্য ইয়ানুচ আলী, হাসানুজ্জামান হিলন, সাজেদুল ইসলাম সাজু, সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা প্রমুখ।
মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মিদুলের র্যালি বের করা হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবনের সামনে থেকে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মিদুলের নেতৃত্বে র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়ে শহীদ স্মৃতি বেদীতে পুষ্প মালা অর্পণ করেন। এ সময় সেখানে মোনাজাত করা হয়। এসময় অন্যদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের নেতা মিজানুর রহমান হিরণ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন প্রমুখ।
মেহেরপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সকালে মেহেরপুর কলেজ মোড়স্থ শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে র্যালি বের করা হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবনের সামনে থেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধনের নেতৃত্বে র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পমালা অর্পণ করেন।
মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় প্রাঙ্গনে পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ সাঈদ আহমেদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক আরজুল্লাহ মাস্টার বাবলু প্রমুখ। আলোচনাসভা শেষে পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের নেতৃত্বে বর্ণিল বিজয় শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়স্থ শহীদ স্মৃতিসৌধে পূষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আবু সুফিয়ান হাবু, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হাজি ফজলু খান, সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, সহ-সভাপতি হাবিব ইকবাল, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মোল্লা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক আবু ইউসুফ মিরন, পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক হাফিজুর রহমান হ্যাপি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক রাইহানুল কবীর, জেলা যুবদল সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু, জেলা জাসাস’র আহবায়ক প্রভাষক মাহফুজুর রহমান অশেষ, জেলা জাসাস’র সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক লিয়াকত আলী, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তৌফিক এলাহী সাকিল, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক বখতিয়ার খালিদ বুলবুল, সদস্য সচিব রাশেদুল ইসলাম রাজন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের আহবায়ক ফাহিম আহনাফ লিংকন, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক তৌফিক এলাহী প্রমুখ। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও সেলিম শাহনেওয়াজ। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জেল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান এবং ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ। এদিকে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করছে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ। সকালে বিশাল বিজয় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে দলের নেতাকর্মীরা। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বিজয় শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বাসস্ট্যান্ডে সমাবেত হয় নেতাকর্মীরা। সেখানে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পকাকা উত্তোলন শেষে বিজয় শোভাযাত্রা আবারও প্রধান সড়ক হয়ে উপজেলা মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুর রহমান মুকুল, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম, গাংনী উপজেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ সহসভাপতি ও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী নবীর উদ্দীন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ। রাত ১২টা এক মিনিটে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু করে গাংনী পৌর আওয়ামী লীগ। পুষ্পমাল্য অপর্ণের পর আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আনারুল ইসলাম বাবু। আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। বিজয় দিবস উদযাপনে বিজয় শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে গাংনী উপজেলা যুবলীগ। সকালে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগ যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম, আনোয়ার পাশা, যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন ও রবিউল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার, উপজেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে হাজি আহসান আলী, মুজিবনগর থানার পক্ষে ওসি মো. আব্দুল হাশেম, ট্যুরিস্ট পুলিশ, উপজেলা আ.লীগের পক্ষে পৃথকভাবে সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসু ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আমাম হোসেন মিলু, দারিয়াপুর ইউপির পক্ষে চেয়ারম্যান তৈফিকুল বারী বকুল, মোনাখালী ইউপির পক্ষে চেয়ারমান মফিজুর রহমান মফিজ, মহাজনপুর ইউপি’র পক্ষে চেয়ারম্যান আলহাজ আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউপি আ.লীগের পক্ষে সভাপতি মজিবুর রহমান মধু, মোনাখালী ইউপি আ.লীগের পক্ষে সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফা, মহাজনপুর ইউপি আ.লীগের পক্ষে সভাপতি রেজাউর রহমান নান্নু, সম্পাদক আব্দুর রশিদ বল্টু, দারিয়াপুর ইউপি আ.লীগের পক্ষে সভাপতি মোস্তাকিম হক খোকন কমান্ডার, ওয়ার্ড আ.লীগের পক্ষে সভাপতি নজরুল ইসলাম ঝুটিকা, সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক লীগের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা শাখার সহসভাপতি মো. আব্দুস সালাম, উপজেলা যুবলীগের পক্ষে কামরুল হাসান চাদু, উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষে সভাপতি হেলাল উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিব, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষে সভাপতি বিপ্লব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আরিফ, উপজেলা শ্রমিক লীগের পক্ষে সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের পক্ষে সভাপতি মহাসিন আলী। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। দুপুরে বীর মুক্তিযুদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন আলহাজ রফিকুল ইসলাম মোল্লা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম, ওসি মো. আব্দুল হাশেম, কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান, মুক্তিযুদ্ধা হারুন-অর-রশিদ, লুৎফর রহমান, আমজাদ হোসেন, আহসার আলী, আফজাল হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন সমাজ সেবা অফিসার আব্দুর রব। পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
বারাদী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুরের বারাদী আ.লীগের উদ্যোগে র্যালি, পতাকা উত্তোলন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিত্বে মাল্যদান করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারাদী ইউনিট আওয়ামী সভাপতি শামিম ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিন, বারাদী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্বাস আলী প্রমুখ। অপরদিকে মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম ফেরদৌস, প্রধান শিক্ষক জাব্বারুল ইসলাম, মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী রেজা বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা শান্তি, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম প্রমুখ।
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসটি শুরু করা হয়। পরে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল। পরে পরিষদ মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাড. শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি, পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন ফারুক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাদিয়া আক্তার পিংকি, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তাজুল ইসলাম, পৌর আ.লীগের আহ্বায়ক ফারজেল হোসেন ম-ল, যুগ্মআহ্বায়ক শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।