মেহেরপুরে করেনায় আরও ২জনের মৃত্যু : আক্রান্ত ৪৮

মেহেরপুর অফিস: করোনার কারণে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মুখ। প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গেলো ২৪ ঘন্টায় মেহেরপুর জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২ জন রোগী মারা গেছেন। এদের একজন মেহেরপুর সদর ও অপরজন মুজিবনগর উপজেলার বাসিন্দা। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। আক্রান্তের হার শতকরা ৪৯.৪৯ ভাগ। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৬৩ জন। আর আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৬৩ জন। এতে মেহেরপুরে সচেতন মানুষের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। মেহেরপুরের লকডাউন কঠোরভাবে পালনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সাথে যোগ হয়েছে র‌্যাব, সেনা সদস্য ও বিজিবি। গতকাল শনিবার জেলা ও উপজেলা শহরে সফলভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে।
গেলো ২৪ ঘন্টায় মেহেরপুর জেলায় নতুন করে ৪৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১০ জন ও গাংনী উপজেলায় ৩৮ জন রয়েছেন। এনিয়ে বর্তমানে জেলায় মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৬৩ জন। গতকাল শনিবার রাতে সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস থেকে আরো জানা যায়, কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ৯৭টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৪৮ জন করোনা রোগী চিহ্নিত হয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন মোট ৫৬৩ জন করোনা রোগীর মধ্যে সদর উপজেলার বাসিন্দা ১৮৩ জন, গাংনী উপজেলার বাসিন্দা ২৭১ জন ও মুজিবনগর উপজেলার বাসিন্দা ১০৯ জন। এছাড়া ট্রান্সফার্ড হয়েছেন ১১৫ জন। এদের মধ্যে সদর উপজেলার ৭৩ জন, গাংনী উপজেলার ১৭ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ২৫ জন রয়েছেন। এ ছাড়া এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৩৪৬ জন। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৫২ জন, গাংনী উপজেলায় ৪১৭ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ১৭৭ জন রয়েছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৩ জন। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ২৪ জন, গাংনী উপজেলার ২৪ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ১৫ জন রয়েছেন।
এদিকে গেল ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ২ জনের মধ্যে রয়েছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের ওয়াজেদ বিশ^াসের ছেলে রেজাউল ইসলাম ওরফে পল্টু বিশ^াস ও মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন খাতুন। করোনা পজেটিভ হয়ে গত সপ্তাহে এরা দু’জন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এদিকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফায় উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। মাঠে নেমেছে র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা।

 

Comments (0)
Add Comment