মেহেরপুর অফিস: করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মেহেরপুর জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পেলেও গতকাল কোন রোগি মারা যায়নি। তবে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। আক্রান্তের হার শতকরা প্রায় ২৩ ভাগ। বর্তমানে করোনা পজেটিভ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৮২ জন। প্রতিদিন মেহেরপুরে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মুখ। করোনা সংক্রমণে লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। দিনে দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা কম হলেও মৃত্যুর হার না কমায় মেহেরপুরে সচেতন মানুষের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা। করোনা সংক্রমন কমাতে মেহেরপুরের লকডাউন কঠোরভাবে পালনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় মেহেরপুর জেলায় নতুন আক্রান্ত ৩৯ জনের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১৭ জন, গাংনী উপজেলায় ১১ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ১১ জন রয়েছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত শুধু করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন ১৫৮ জন। গতকাল সোমবার রাতে সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চত করেছেন। মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ১৬৯ টি (পিসিয়ার ল্যাবে- ২৬, এন্টিজেন- ১৩৭ ও জিন এক্সপার্ট- ৬) নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩৯ জন করোনা রোগী চিহ্নিত হয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন মোট ৪৮২ জন করোনা রোগীর মধ্যে সদর উপজেলার বাসিন্দা ১৫০ জন, গাংনী উপজেলার বাসিন্দা ২৩৮ জন ও মুজিবনগর উপজেলার বাসিন্দা ৯৪ জন রয়েছেন। এছাড়া ট্রান্সফার হয়েছেন ১২০ জন। এদের মধ্যে সদর উপজেলার ৭৭ জন, গাংনী উপজেলার ১৮ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ২৫ জন রয়েছেন। এ ছাড়া এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ৫৮০ জন। যার মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ৭০৫ জন, গাংনী উপজেলায় এক হাজার ৩৮১ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় রয়েছেন ৪৮৪ জন । মারা যাওয়া ১৫৮ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৭০ জন, গাংনী উপজেলায় ৫৩ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ৩৫ জন রয়েছেন।
এদিকে মেহেরপুর পুলিশের উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মধ্যে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করণে সচেতনতা মূলক কার্যক্রমসহ জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মেহেরপুর পুলিশের একটি দল মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার মোড় এবং পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জনসচেতনতা মূলক প্রচারণা চালায়। অযাথা ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। একইসাথে সকলকে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।