মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে রুখে দিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সাম্যের মানবিক বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে গতকাল রোববার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকীতে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে সকল কর্মসূচিতে স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গকারী জাতির সূর্যসন্তান বীর শহীদদের প্রতি সুগভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে গোটা জাতি। মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। স্বাধীনতার উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত জনতা শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্বরণ করছে স্বাধীনতার মহানায়কদের। জাতি ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে বাঙালি জাতির অহংকার আর গৌরবে গাথা স্বাধীনতা দিবসের দিনটি। লাখো কোটি কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার সুদীপ্ত শপথ। দেশের পথে-প্রান্তরে পতপত করে উড়েছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা। আর এ পতাকা জানান দিয়েছে একটি স্বাধীন দেশের জন্মদিনের কথা, যে দেশটি অর্জনে ত্রিশ লাখ মানুষকে আত্মবলিদান দিতে হয়েছে। বেজেছে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা সংবলিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। স্বাধীনতার ৫২ বছর পার করেছে বাংলাদেশ, কিন্তু জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। মহার্ঘ্য স্বাধীনতা দিবসে রোববার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নতুন শপথ নিয়েছে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি। দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৫২ বছর পূর্তি উদযাপন করলো বাংলাদেশ, যে দেশের মানুষের সামনে এখন সোনালি ভবিষ্যত। তাই দেশের জন্মদিনে এক অন্য রকম স্বস্তি, আনন্দ ও শপথে জেগে উঠেছিলো বাঙালি। করোনা মহামারী কিছুটা কমে আসায় দেশের ৫৩তম স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসে শনিবার এক অন্য রকম আনন্দ-উৎসবে মেতেছিলো গোটা দেশ। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তস্নাত লাল-সবুজের পতাকা হাতে স্বাধীনতা দিবসে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়েছে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতামুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা। কালরাতের আঁধার পেরিয়ে আত্মপরিচয় অর্জন ও পরাধীনতার শিকল ভাঙার ৫২ বছর পূর্তির দিনটি বাঙালি জাতির হৃদয়ের গভীরতা থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গেই উদযাপন করেছে নানা অনুষ্ঠানমালায়। শনিবার দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের। একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ৫২ বছর পূর্ণ করা বাংলাদেশে এবার স্বাধীনতা দিবস এসেছে নতুন অনুষঙ্গ নিয়ে। জাতির সামনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে প্রতিটি অনুষ্ঠানেই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় শপথ। দেশের জন্মদিনে মানুষের বাঁধভাঙ্গা ঢল থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের মূলোৎপাটনের দীপ্ত শপথে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বীর শহীদদের প্রতি। রাস্তায় বের হওয়া শিশু-কিশোর ও তরুণদের হাতে শ্রদ্ধার ফুল, কারও গালে কিংবা কপালে আঁকা ছিলো রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা, প্রিয় মাতৃভূমির মানচিত্র। তরুণ প্রজন্মের ছেলেদের গায়ে জাতীয় পতাকাসাদৃশ্য শর্ট পাঞ্জাবি বা গেঞ্জি এবং মেয়েদের পরনে লাল-সবুজের মিশ্রণে জাতীয় পতাকার মতো শাড়ি। সবাই অংশ নিয়েছিলেন এবারের স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ-উৎসবে। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে তরুণ প্রজন্মরা শুনেছে তাদের বীরত্বগাথা ইতিহাস, জেনেছে একাত্তরে রাজাকা, আল-বদর, আল-শামসদের গণহত্যা, মা-বোনদের সম্ভ্রমহরণ ও বুদ্ধিবীজীদের হত্যার কালো ইতিহাস।
দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে দুপুরে মসজিদে দোয়া ও সুবিধামত সময়ে মন্দিরে ও গীর্জায় দোয়া করা হয়। এছাড়া হাসপাতাল, জেলখানা ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী, মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল রোববার শহীদ হাসান চত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা হয়। সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পৌরসভা সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দ্বারা সজ্জিতকরণ করা হয়। সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেলা কার্যালয়ে দলীয় সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এ সময় দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বড় বাজার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ-আল মামুন, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবু হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিট, জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা মহিলা যুবলীগের সভানেত্রী আফরোজা পারভীন, এডাব চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা ও বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন, সাহিত্য পরিষদসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
সকাল ৮টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের শ্বেত কবুতর অবমুক্তকরণ, বেলুন ও ফেস্টুন উড্ডয়নের এ দিবসের আনুষ্ঠানিকতায় নতুন মাত্রা যোগ করে। এরপর প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশের আরআই মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ও ৪ জন পাইলটের চৌকস প্রহারায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ ও প্যারেড পরিদর্শন করেন। প্যারেড পরিদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়ামে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সরকারি দপ্তরের সকল কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ সকলের উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধা ভরে উল্লেখ করে ক্ষুধা- দারিদ্র্যমুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ১৫ মিনিটের প্রাণবন্ত ভাষণ দেন। এরপর অস্ত্রধারী বাহিনীর সদস্যদের সালাম গ্রহণ করেন। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবং সংযমকে প্রাধান্য দিয়ে এ বছর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে কুচকাওয়াজে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ বছর শুধুমাত্র ৭টি অস্ত্রধারী সংগঠনের মার্চপাস ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী চুয়াডাঙ্গা ইউনিট, আনসার ভিডিপি, জেল কন্টিজেন্ট, বিএনসিসি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, বিএনসিসি ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বিএনসিসি এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। তবে কুচকাওয়াজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ না থাকলেও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আগ্রহী দলসমূহকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ বছর ক ও খ বিভাগে ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দল ডিসপ্লে (শরীর চর্চা) প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। ‘ক’ বিভাগে শরীর চর্চা প্রদর্শনীতে প্রথম স্থান অধিকার করে ফার্মপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রেলবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাব দল, তৃতীয় স্থান অধিকার করে ইসলামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাবদল। ‘খ’ বিভাগে শরীর চর্চা প্রদর্শনীতে প্রথম স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবার এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ। ডিসপ্লে (শরীরচর্চা) প্রদর্শন শেষে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সকল দলকে সৌজন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। একই সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র বীর প্রতীক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে পুরস্কার বিতরণ শেষ করা হয়।
বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাঙ্গণে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা অস্বচ্ছল ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে ব্যবস্থাপনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া। অনুষ্ঠানে জেলার ১৭জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে উন্নত মানের খাবার, নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী উপহার দেয়া হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সী আবু সাইফ। এছাড়াও জেলা প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনাসভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পত্নী নাহিদ হাসান তিশা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ডিসিপত্নী মেহেনাজ খান বাঁধন। বিশেষ অতিথি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি পুনাকের সভাপতি এসপিপত্নী ফরিদা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পত্নী রুবাইয়া মোস্তফা সিনথিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পত্নী মমতাজ বেগম, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুলতানা আনজু রত্না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালেয় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও অ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরশাদ উদ্দীন আহমেদ চন্দন, সাবেক বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তহিদুর রহমান চন্দন ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা নুরুন্নাহার কাকলী, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি নাবিলা রুকসানা ছন্দা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া শাহাব, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক গিণি ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেন, সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর ইসলাম লাল্টু, ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব রিগান, সোহেল আহমেদ, মুন্না, রানা, রিয়ন প্রমুখ।
অপরদিকে, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। গতকাল রোববার সূর্যোদ্বয়ের সাথে সাথে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দোয়া, ইফতার ও আলোচনাসভা এবং দুস্থ, অসহায় ও দারিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ হয়। দুপুর ১টায় আলুকদিয়া ইউনিয়নে দুস্থ, অসহায় ও দারিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দোয়া, ইফতার ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আলুকদিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মো. আব্দুল মাবুদ জোয়ার্দ্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু হোসেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উদ্দীন, আব্দুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, হবিবার রহমান, আলাউদ্দীন, ছানোয়ার হোসেন, সৌরভ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু প্রমুখ।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে জেলা বিএনপির আয়োজনে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর জেলা বিএনপি ও এর সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল সহকারে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরের শহীদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, সিরাজুল ইসলাম মনি, আবুবকর সিদ্দিক আবু, নুরনবী সামদানী, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান পল্টু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা কৃষক দলের যুগ্মআহ্বায়ক আরিফ হোসেন জোয়ার্দ্দার সোনা, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় ২৫ মার্চ কালোরাতে নিহত ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপরই যুবলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে অবস্থিত শহীদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। বাদ আছর যুবলীগের উদ্যোগে সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা, যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসান সৈকত, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সামিউল শেখ সুইট, শেখ রাসেল, দিপু বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি বিপ্লব হোসেনসহ উপস্থিত ছিলেন লোকমান, সুমন, হাসান, লিফটন, টিপু, পারভেজ, মাহফুজ, রাজন, হাসিব, আকাশ, আসান, তিব্বত, শিমুল, রনি, সজিব, জিহাদ, জনি, বিপ্লব, ইমরান, তানজিল, সঞ্জু, সোহাগ, আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপ-সম্পাদক শেখ আনোয়ার, সাবেক সদস্য ইমরান ফেরদৌস, আতাউর রহমান বিপুল, সাহেদ, জাহাঙ্গীর আলম টিলু প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে শহিদবেদীতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, আলমডাঙ্গা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক বিসিবি কোচ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য খন্দকার জেহাদ-ই-জুলফিকার টুটুল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আব্দুল মালেক, রাশিদুল ইসলাম, এখলাস উদ্দীন সুজন, শেখ রাসেল, আজাদ আলী, দেলোয়ার হোসেন দিলু, সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ও কোচ সরওয়ার হোসেন মধু ও টিপু প্রমুখ।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শহীদ স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এখলাছ উদ্দিন সুজন, কোষাধ্যক্ষ নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রাসেল, শফিকুল ইসলাম মালেক, খন্দকার জিহাদ-ই-জুলফিকার টুটুল, উপদেষ্টা সরোয়ার হোসেন মধু ওস্তাদ।
চুয়াডাঙ্গা বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৮টায় শহরের একাডেমি মোড়সহ বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার কার্যালয় থেকে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাসান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদবেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক বিপুল আশরাফ, প্রজেক্ট কো অডিনেটর নাঈম সরোয়ার, সোহেল রানা, হামিমুজ্জামান সুমন প্রমুখ।
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ৯টায় ডিঙ্গেদহ বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসটির শুভসূচনা করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শংকরচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শংকরচন্দ্র ইউপি সচিব আশাবুল হক মাসুদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমির হোসেন, সাংগাঠনিক সম্পাদক শওকত মাহামুদ, মুক্তিযোদ্ধা বিযয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, লান্টু হোসেন, সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠের সহকারী প্রধান শিক্ষক মানোয়ার হোসেন, উদীচীর আব্দুস ছাত্তার। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এছাড়াও শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শওকত মাহামুদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন, মোশারফ হোসেন, বিপ্লব কুমার। এছাড়াও উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখার উদ্যোগে র্যালি, আলোচনাসভা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাইফুল আজম মিন্টু। সহপ্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলামের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন সদস্য রাশিদুল ইসলাম, শিক্ষক সাজেদুর রহমান, আজিজুল হক, আবুল হোসেন, বকতিয়ার হোসেন, মতিয়ার রহমান, শাহাবুদ্দিন, শাহানাজ পরভীন, শেফালী পারভীন, মাসুদ রানা, বিপুল হোসেন, রিপন হোসেন, নাহিদ পারভেজ, মিতা বিশ্বাস, মুক্তা প্রমুখ ।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও কুতুবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি হাজি আজিজুল হক, কুতুবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাজি মজিবর রহমান, যুগ্মসম্পাদক আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল আলম জবির, জাকির হোসেন প্রমুখ। চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলা উদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হালিম মিয়া সহকারি প্রধান শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম প্রমুখ। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও র্যালি বের করা হয়। এছাড়া সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির শুভসূচনা করা হয়। সকাল ৭ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে, শহীদ মাজারে এবং আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে। এরপর সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর ও আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন একরামুল হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সাহাবুদ্দিন আহমেদ সাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭০র অগ্নিসেনা মঈনুদ্দীন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লাল্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ, উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সকাল ৮ বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, সিভিল ডিফেন্স, স্কাউটের কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। কুচকাওয়াজে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আলমডাঙ্গা থানার এসআই আমিনুর রহমান, সহকারী হিসেবে ছিলেন এএসআই রাসেল ও এএসাই জামির।
আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের নেতৃত্বে শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সাহাবুদ্দিন আহমেদ সাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধ অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, বীর মুক্তিযোদ্ধ ৭০র অগ্নিসেনা খ্যাত মঈনুদ্দীন আহমেদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।
সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সাহাবুদ্দিন আহমেদ সাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পৌর মেয়র এম সবেদ আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭০র অগ্নিসেনা মইন উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস। উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজা।
আলমডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকেও পৃথকভাবে দিনটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রত্যুষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের জাতীয় ও পৌর সভার পতাকা উত্তোলন, ভোর সাড়ে ৬টায় পৌর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। সকাল ৭টায় মেয়রের নেতৃত্বে শহীদ মাজারে ও বধ্যভূমির বেদীতে পুষ্পার্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়, সাড়ে ৮টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আয়োজনমালায় অংশগ্রহণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলার আলাল আহমেদ, খন্দকার মজিবুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম স্বপন, সদর উদ্দিন ভোলা, আব্দুল গাফফার, ডালিম হোসেন, বাপ্পি, আশরাফুল হোসেন, সাইফুল মুন্সিসহ কাউন্সিলর ও পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ।
আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দিনটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্যার্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, জেলা আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ লিয়াকত হোসেন লিপু মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন ও সম্পাদক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর যুবলীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করেছে। সকালে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্যার্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক আনোয়ার হোসেন সোনাহার, যুগ্মআহব্বায়ক তাফসির আহমেদ মল্লিক লাল, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আসাদুল হক ডিটুসহ উপজেলা ও পৌর যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির সকল সদস্য।
আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ, আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বিদ্যালয়, এরশাদপুর একাডেমি, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ওজোপাডিকো, পল্লি বিদ্যুৎ, সখি ফ্লিম ও সৃষ্টি মাল্টিমিডিয়া, দেখি বাংলার রুপ টিম পৃথক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সকাল ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবিতে পুষ্পবস্তক অর্পণ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব চির কুমার শাহা, পাচঁকমলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই নাসির খান প্রমুখ। এছাড়া খাদিমপুর ইউনিয়ন কিশোর কিশোরী ক্লাবের আয়োজনে কবিতা আবৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও বঙ্গবন্ধুর ছবিতে পুষ্পবস্তক অর্পণ করে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে। আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসানউজ্জামান হান্নান। জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলনের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা ও বঙ্গবন্ধুর ছবিতে পুষ্পবস্তক অর্পণ করা হয়।
ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আলোচনা সভায় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান হাজি আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি সচিব জিয়াউর রহমান, ইউপি সদস্য আছিয়া খাতুন, আনোয়ারা খাতুন, জাহান্নারা খাতুন, হাবলুর রহমান, আল বেলাল, আবুল হাসেম, সাইফুজ্জামান বিদ্যুৎ, আশরাফ আলী, জব্বার মিয়া, কাউছার আলী, তুষারেফ হোসেন প্রমুখ।
হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, নতুন কুঁড়ি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাটবোয়ালিয়া বাজার কমিটি ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে মহান স্বাধীনতা দিবস শ্রদ্ধা ভোরে পালন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি হাজি জিনারুল ইসলাম বিশ্বাস। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী। সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফুজ্জামান লাকী, কোরবান আলী, মাওলানা আব্দুর রহমান, অজিফা খাতুন, গুলশান আরা, অফিস সহকারী কিবরিয়া।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় পৌর আ.লীগ কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেরুজ, সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয়, দলীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে কলেজ মাঠে সমবেত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু শপথ বাক্য পাঠ করানোর পরপরই বের করা হয় বর্ণাঢ্য র্যালি। র্যালিতে অংশ নেয় আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার। এছাড়া দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর্শনা সরকারি কলেজ, মেমনগর বিডি, কেরুজ, দক্ষিণচাঁদপুর, আলহেরা, মাধমিক বালিকা বিদ্যালয়, পূর্বরামনগর, পশ্চিমরামনগর, ঈশ্বরচন্দ্রপুর, শ্যামপুর, জয়নগর, দক্ষিণচাদপুর, কাস্টমস, পরাণপুর, শান্তিনগর, আজমপুর, কেরুজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, অনির্বাণ থিয়েটার, দর্শনা পৌরসভা, মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন, রামাযুষ, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন। কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা। দর্শনা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল হরিম, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, ভারপ্রাপ্ত মেয়র রবিউল হক সুমন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান, রুস্তম আলী, রেজাউল করিম সবুর, আ.লীগ নেতা হাজি জয়নাল আবেদীন, হাজি এরশাদ আলী, বিল্লাল হোসেন, জয়নাল আবেদীন নফর, যুবলীগ নেতা আ. হান্নান ছোট, সোলায়মান কবির, আব্দুস সালাম ভুট্টো, ফয়সাল, ছাত্রলীগ নেতা তোফাজ্জেল হোসেন তপু প্রমুখ। এদিকে কেরুজ চিনিকল ও দর্শনা সরকারি কলেজ পৃথকভাবে মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল ১০টার দিকে দর্শনা সরকারি কলেজে শিক্ষক পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। আলোচনা করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রেজাউল করিম, উপাধ্যক্ষ ড. মফিজুর রহমান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জমশেদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক গোলাম কাউসার, মফিজুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, আনিছুর রহমান, ওবাইদুর রহমান প্রমুখ। পরিচালনা করেন প্রভাষক মতিউর রহমান। সকাল ৯টার দিকে কেরুজ ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) সাইফুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুইয়া, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলম, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান প্রমুখ। শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগী ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও দর্শনা পৌর বিএনপি সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসহ র্যালি বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেছে। দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শাহ মুকুলের নেতৃত্বে র্যালি ও আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা ইকবাল জোয়ার্দ্দার, হাবিবুল্লাহ, শহিদুল ইসলাম, নজির আহমেদ, ফরমান, আজিজুল, শাহবুল, আলাল, যুবদল নেতা অপু সুলতান, টুটুল শাহ, নাসির উদ্দিন হাসু, রুহিন, সুলতান, শাহবুদ্দিন, ছাত্রদল নেতা রিয়েল, মামুন, রানা প্রমুখ। এদিকে থানা ও পৌর বিএনপির যৌথ আয়োজনে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অতিথি ছিলেন, থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, প্রধান সমন্বয়কারী হাবিবুর রহমান বুলেট, বিএনপি নেতা নাহারুল মাস্টার, আ. রশিদ, শফিউজ্জামান, ফরজ আলী, মহব্বত আলী, আজিবর রহমান প্রমুখ।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভসূচনা করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রথম প্রহরে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক, আট শহীদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। প্রধান অতিথি ছিলেন দামুুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার (ওসি) লুৎফুল কবীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আছির উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদ।
অপরদিকে, দামুড়হুদায় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে থেকে একটি র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে কার্যালয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বিএনপির নেতা হায়দার আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইকরামুল হক, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় কার্পাসডাঙ্গায় ইউনিয়ন আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসহ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সহসভাপতি আব্দুল কাদের বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগের সিনিয়র সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, সহসভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ, যুগ্মসম্পাদক আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সাংগাঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল, মখলেসুর রহমান রিপন।
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসায় আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল। দোয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ জুলফিককার আলী।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের দিনব্যাপী কর্মসূচিতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এ সময় সকল সরকারি ও বে-সরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ৮টায় জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ও ইউএনও মো. রোকুনুজ্জামান জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্যারেড গ্রাউন্ডে সালাম গ্রহণ, প্যারেড পরিদর্শন ও শ্বেত কপোত উড়ান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সভাপতিতের বক্তব্যে ইউএনও দেশ ও জাতীর সমৃদ্ধি কামনা করেন। ইউএনও মো. রোকুনুজ্জামান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশেষ অতিথি ছিলেন থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক।
অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ অমল, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়াম্যান আয়েসা সুলতানা লাকিসহ রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস অংশগ্রহণ করে। শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আকলিমা প্রি-ক্যাডেট স্কুল, প্রাইড প্রি-ক্যাডেট স্কুল শরীরচর্চ্চা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। বেলা ১১টায় মাধবখালীর নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থিত ৬ শহীদের কবরে ফাতেহা পাঠসহ পুষ্পার্ঘ অর্পণ, বেলা ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনও রোকুনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান ও বদর উদ্দিন। হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অপরদিকে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ওপর ক্ষুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা দিবসে পাল্টা কর্মসূচি পালন করেছে জীবননগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ অবশ্য সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ ইউএনও তাদের মুক্তিযুদ্ধ মেলার র্যাফেল ড্র’র মুক্তিযুদ্ধর লগো সম্বলিত লটারির টিকিট পুড়িয়ে দেয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ করে দিতে কালক্ষেপণ করেন। ইউএনও মো. রোকুনুজ্জামান অবশ্য এ অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টা কর্মসূচির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় ও কমান্ডের পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৮টায় মাধবখালীর নো-ম্যান্স ল্যান্ডে শহীদ ৬ মুক্তিযোদ্ধারকবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের হলরুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিন দলুর সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, জীবননগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ মাহাবুবুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি এমআর বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোজাউদ্দিন, নূরুল ইসলাম মধু, আশরাফ উদ্দীন প্রমুখ। আলোচনাসভায় মুক্তিযোদ্ধাগণ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ তহবিল গঠনের জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তিযুদ্ধ গ্রামীণ লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলায় যাত্রা, সার্কাস পুতুল নাচের পাশাপাশি র্যাফেল ড্র’র চলছিলো। র্যাফেল ড্র’র টিকিট বিক্রিকালে উপজেলা মৃক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক ইউএনও মো. রোকুনুজ্জামান ও এসি ল্যান্ড তিথি মিত্র গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তা জব্দ করেন এবং পুড়িয়ে দেন। টিকিটে মুক্তিযুদ্ধর লগো ছিলো। লগো সম্বলিত টিকিট পুড়িয়ে পুরো মুক্তিযোদ্ধাদের পোড়ানো হয়েছে; অপমান করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়াও মেলার মাঠ পরিদর্শনের কথা থাকলেও তিনি করেননি। ফলে আমরা চরম ক্ষুব্ধ হয়েছি। এছাড়াও ইউএনও মহোদয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ করে দিতে গেলে কালক্ষেপণ করে থাকেন। ফলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে জাতীয় কর্মসূচি বয়কট করে পাল্টা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. রোকুনুজ্জামান বলেন, কোনো যুক্তি সংগত কারণ ছাড়াই এ অনুষ্ঠান বর্জন করা হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ গ্রামীণ মেলায় র্যাফেল ড্র’র নামে জুয়া চালানো হচ্ছিলো। যাত্রা, সার্কাস ও পুতুল নাচের নামে নারীদের নাচ চলছিলো। এ নিয়ে মানুষের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। লটারির টিকিট কিনে দরিদ্র মানুষেরা নিঃস্ব হচ্ছিলো। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট একাধিক অভিযোগ আসে। আমার নিকটও আসে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমাকে ও এসি ল্যান্ডকে বিষয়টি দেখতে হয়েছে। তিনি বলেন, র্যাফেল ড্র’র লটারির টিকিটে মুক্তিযুদ্ধের কোনো লগো দেখতে পায়নি। তবে পুরস্কার হিসেবে গরু-ছাগল ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের ছবি দেখেছি। আমি আমার ইচ্ছায় এ কাজ করিনি। মুক্তিযুদ্ধের লগো থাকলে হয়তো এ কাজ করা হতো না। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ করে দেয়ার ক্ষেত্রে কালক্ষেপণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য না। আমার দপ্তরে আজ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাগণের কোনো কাজ জমা নেই। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠান বয়কট করা হয়েছে পুরোপুরি সত্য না।
আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃতি, রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন। আলোচনাসভা শেষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। দোয়া পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাও. আহসানউল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান সোনা।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে প্রত্যুষে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে ৩১বার তপোধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান সর্বপ্রথম জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও মেহেরপুর জেলাবাসীর পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর পরই পুলিশ বিভাগের পক্ষে পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মেহেরপুর পাবলিক লাইব্রেরি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মনসুর আলম খান, সরকারি মহিলা কলেজের পক্ষে অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা আনসার ও ভিডিপির পক্ষে জেলা কমান্ড্যান্ট সাহাদাত হোসেন, মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অলোক কুমার দাস, সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, মেহেরপুর মহিলা ক্লাবের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিউজা-উল জান্নাহ, ছহিউদ্দীন ডিগ্রি কলেজের পক্ষে অধ্যক্ষ একরামুল আজিম, টিটিসির পক্ষে অধ্যক্ষ আরিফ আহমেদ, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষে সহকারী-পরিচালক শিরিন নাহার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষে স্টেশন অফিসার আব্দুর রাজ্জাক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষে উপপরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী, মেহেরপুর জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার রোকনুজ্জামান, মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর পক্ষে উপজেলা যুব উন্নয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার কু-ু, জেলা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের পক্ষে কামাল হোসেন, জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাইদুর রহমান, সরকারি গণগ্রন্থাকারের পক্ষের জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান ইমদাদুল হকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সেখানে দোয়া করা হয়। এদিকে শহীদ স্মৃতিসৌধ পুষ্পমাল্য অর্পণ করার পরপরই জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার মেহেরপুর জেলা প্রশাসন চত্বরে শহীদ স্মৃতিসৌধ পৃথক পৃথকভাবে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মেহেরপুর বিচার বিভাগের উদ্যোগে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এদিন সকালে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতী কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে সকালে মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এর আগে আদালত ভবন প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতী কুমার বিশ্বাস চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় বিচার বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। এদিন সকালে মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুস সালাম, বুড়িপোতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জামান, আমদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে মেহেরপুর কলেজ মোড়ে অবস্থিত কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এর আগে মেহেরপুর জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেহেরপুর কলেজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমিরুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মেহেরপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন দুপুরের দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনাতনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে মেহেরপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এজেএম সিরাজুম মুনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ. মালেক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ। পরে সেখানে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রীতি ক্রিকেট খেলায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসন একাদশ জয়লাভ করেছে। এদিন বিকেলে মেহেরপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসন একাদশ ৫ মেহেরপুর সোনালী অতীতকে পরাজিত করে। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিঙ্কন বিশ্বাস, জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ, সরকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লা হেল কাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সোয়া ৮টায় মেহেরপুর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, জেল পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্ল গাইডস, গার্ল ইন স্কাউট, কাব স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট সহ মেহেরপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলে-মেয়েরা মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক ড. মো. মুনসুর আলম খান প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এবং শান্তির প্রতিক কবুতর উড়ান। পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম এ সময় জেলা প্রশাসকের সাথে ছিলেন। পরে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক ড. মো. মুনসুর আলম খান কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগরে স্মৃতিসৌধে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কমসূচি শুর হয়। এ সময় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মুজিবনগর মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল ও মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ৬টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মুজিবনগর থানার পক্ষে থানা ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল, মুজিবনগর আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে বীর মুক্তিয়োদ্ধা হাজি আহসান আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. আসাদুজ্জামান, উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মিরাজুল ইসলাম, কৃষক লীগের পক্ষে সভাপতি জাহিদ হাসান রাজিব, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান রহমান মানিক, ছাত্রলীগের পক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান, উপজেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষে সভাপতি তকলিমা খাতুন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষে এজিএম, মুজিবনগর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ ও স্কুল। সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কুচকাওয়াজ ও শরীর চার্চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস। পরে সকাল ১০টায় সেখানে উপজেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিতে থকে বক্তব্য রাখেন মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি আহসান আলী খান। এছাড়া সাংস্কৃতি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় প্রমুখ।