স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ২৪ জন কোভিড-১৯ রোগি শনাক্ত হয়েছে। এ দিয়ে বুধবার (২২ জুলাই) পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪শ ৭০জন। বুধবার আরও ৩জন সুস্থ হয়েছেন। এ দিয়ে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট আড়াইশ।
বুধবার শনাক্ত হওয়া ২৪ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরেরই ১৬ জন। এ দিয়ে শহরেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে অর্ধশতাধীক। পৌর এলাকার ৩টি ওয়ার্ড মঙ্গলবার রেডজোন ঘোষণা করে লকডাউন করেছে জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি। তবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বুধবার লকডাউনের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। দিনের অধিকাংশ সময় জুড়ে ছিল বৃষ্টি। এ কারণে প্রশাসনিক পদক্ষেপ বিঘ্নিত হতে পারে বলে মন্তব্য করে অনেকে বলেছেন, নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের জোরদার তদারকি না থাকলে ঈদের মধ্যেই পরিস্থিতি বেশামাল হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বুধবার চুয়াডাঙ্গার নতুন ৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিন রাতে কুষ্টিয়া পরীক্ষাগার থেকে ৭৫ জনের রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ২৪ জন করোনা আক্রান্ত। বাকিদের রিপোট নেগেটিভ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৭ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৪ জন ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩ জন। দামুড়হুদা উপজেলার ৪ জনের মধ্যে তিনজনই দর্শনার। চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালসহ প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৭ জন। বাড়িতে বা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১৬৫ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ জন। উপসর্গ নিয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হলেও তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
নতুন শনাক্ত হওয়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১৭ জনের মধ্যে শহরের মাস্টারপাড়ার আরও ২ জন, বনানীপাড়ার ২ জন, মুক্তিপাড়ার দুজন, পুরাতন হাসপাতাল পাড়ার ১জন, টিঅ্যান্ডটি পাড়ার ১জন, মহিলা কলেজপাড়ার ১জন, বেলগাছির ১জন, বাজারপাড়র আরও একজন, ডিএসবি অফিসের ১জন, হাসাপাতালপাড়ার আরও ১জন, গুলশানপাড়ার আরও ১জন, হাজরাহাটীর ১জন ও কুকিয়া চাঁদপুরের একজন। দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কলেজপাড়ার ২জন, দর্শনা ইসলামবাজারের একজন ও দামুড়হুদা ফকিরপাড়ার একজন করোনা আক্রান্তের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচলিয়ায় ১জন, পারকুলা কালীদাসপুরে একজন ও আলমডাঙ্গা উপজেলার উপ সহকারী স্বাস্থ্য সহকারী একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা শহরে ছোঁয়াচে ছড়ানোর হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিটি মহল্লাতেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আসন্ন ঈদুল আজাহার মধ্যে পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য অনেকে।