ভিজিএফ’র কার্ড ও শাড়ি-লুঙ্গির ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি

জীবননগরে রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মতবিনিময়ের আয়োজন

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ড ও এমপির দেয়া শাড়ি-লুঙ্গির ভাগাভাগি নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সভাপতি তাহাজ্জত হোসেন মির্জা ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান মাস্টার গ্রুপের মাঝে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। গত মঙ্গলবার রাতে রায়পুর হাইস্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, ভিজিএফের চালের কার্ড ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের দেয়া শাড়ি-লুঙ্গি ভাগ বাটোয়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রায়পুর স্কুলমাঠে রায়পুর ইউনিয়ন আ.লীগ এ মতবিনিময়সভার আয়োজন করে। মতবিনিময়কালে ভিজিএফ কার্ড ও এমপির দেয়া শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তাহাজ্জত হোসেন মির্জার নিকট তাকে কার্ড ও শাড়ি-লুঙ্গি না দেয়া বিষয়ে জানতে চান। এ নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে উত্তেজনা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
রায়পুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলী হোসেন বলেন, আমার হাতে ভিজিএফ কার্ড না দিয়ে অন্যজনের হাতে দিলে আমি প্রতিবাদ করি। সভাপতি তাহাজ্জত হোসেন মীর্জা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান মাস্টার প্রতিবাদ করলে তাকেও গালাগালি করেন। এক পর্যায়ে সাইদুর রহমানের ওপর তাহাজ্জতের লোকজন হামলা করে। সাইদুর রহমান দৌড়ে পালিয়ে যান। ইফতারের পর তাহাজ্জত ভাইয়ের উপস্থিতে তার ছেলে ও ভাইয়েরা আমাকে মারপিট করে।
রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণে সম্পাদক সাইদুর রহমান ওরফে শাহিনুর মাস্টার বলেন, কার্ড ভাগের মিটিংয়ের একপর্যায়ে সভাপতি তাহাজ্জত হোসেন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। পরে তার ছেলে সোহেল মাহমুদ সবুজ আমার ছেলেকে মারপিট করে। তার লোকজন আমাকেও মারতে আসে। সেখানে উপস্থিত লোকজন আমাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়। সে তার ইচ্ছেমতো ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করতে চাইলে প্রতিবাদ করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করেছি উর্ধ্বতন নেতাদের কাছে।
রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহাজ্জত হোসেন মীর্জা বলেন, এমপি সাহেবের শাড়ি লুঙ্গী ও ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে হাইস্কুল মাঠে মিটিংয়ে বসি। সেখানে যারা তালিকা করেছে তাদের হাতে কার্ড তুলে দিই। ৪নং ওয়ার্ড সভপতি আলী হোসেনের কাছে তালিকা চেয়েছি। সে তালিকা করবে না বলে আমাকে জানিয়ে দেয় আগেই। সেখানে যারা তালিকা করেছিলো আমি তাদের হাতে কার্ড দিয়ে দিই। আলী হোসেন আমাকে চার্জ করলে কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তবে মারামারির ঘটনা ঘটেনি।
জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনেছি। তারা বিষয়টি এমপি সাহেবকে জানিয়েছে। তিনি এটা নিয়ে বসে নিষ্পত্তি করবেন।
রায়পুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রবকুল হোসেন বলেন, শাড়ি-লুঙ্গি ও চালের কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে তাহাজ্জত হোসেন ও শাহিনুর মাস্টার গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারির ঘটনা ঘটে। সংবাদ শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। রায়পুর বাজারে আমাদের টহল রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।

Comments (0)
Add Comment